West Bengal

ছাড়পত্র ছাড়া মন্দারমণিতে হোটেল চলছে কী ভাবে, প্রশ্ন কোর্টের

মন্দারমণিতে পরিবেশ নষ্ট করায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল জাতীয় পরিবেশ আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ১৯:৩২
Share:

মন্দারমণি সৈকত নিয়ে এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতীয় পরিবেশ আদালতও।

মন্দারমণিতে পরিবেশ নষ্ট করায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল জাতীয় পরিবেশ আদালত।

Advertisement

আদালতের প্রশ্ন, পর্ষদের চোখের সামনে মন্দারমণিতে এত দিন ধরে ছাড়পত্রহীন হোটেল চলছে কী ভাবে? কলকাতার জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের ইঙ্গিত, গাফিলতি প্রমাণ হলে পর্ষদকে জরিমানা করা হতে পারে।

মন্দারমণির পরিবেশ সংক্রান্ত মামলায় ওই এলাকার হোটেলগুলির ছাড়পত্র সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিল পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই মামলায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আদালতে জানিয়েছে, ৭৪টি হোটেলের কোনও ছাড়পত্র তারা দেয়নি। এর পরেই মঙ্গলবার আদালত প্রশ্ন তোলে, ছাড়পত্র ছাড়া হোটেলগুলি চলছে কী ভাবে?

Advertisement

আদালতে পর্ষদের ব্যাখ্যা ছিল, অনুমতিহীন হোটেলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সন্তুষ্ট করতে পারেনি আদালতকে। মন্দারমণি সংক্রান্ত মামলার আবেদনকারীর কৌঁসুলি সোমনাথ রায়চৌধুরী জানান, পর্ষদের তালিকায় নাম থাকা অনুমতিহীন হোটেলগুলিকে মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বর্ষায় জল জমা রোধে উদাসীন রেল, প্রতিবাদে অবরোধ

পরিবেশবিদেরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে আগামী দিনে সাগরে ঘূর্ণিঝ়ড়ের প্রকোপ বাড়বে। ফলে বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে মন্দারমণির মতো উপকূলীয় এলাকা। এই পরিস্থিতিতে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ জোর দিতে বলছে আন্তর্জাতিক পরিবেশ গবেষণা সংস্থাগুলি। কিন্তু গত এক দশকে যে ভাবে মন্দারমণিতে সমুদ্রের একেবারে ধারে হোটেল গড়ে উঠেছে, তাতে পরিবেশ পুরোপুরি বিপন্ন হয়ে পড়ছে বলেই অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, বালিয়াড়ি ও গাছপালা সামুদ্রিক ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস থেকে ওই এলাকাকে অনেকটাই রক্ষা করত। কিন্তু যে ভাবে নিয়মের তোয়াক্কা না করে পর্যটন গড়ে উঠেছে, তাতে সেই সব বালিয়াড়ি ও গাছপালা নষ্ট হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement