Rabindranath Ghosh

ভাইরাস ছড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় দল: মন্ত্রী

ওই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা আসলে এ রাজ্যে বিজেপি-কে সাহায্য করতে এসেছেন বলে এ দিন অভিযোগ করেন রবীন্দ্রনাথবাবু।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৪২
Share:

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।—ফাইল চিত্র।

দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন রাস্তা ও ঘিঞ্জি এলাকার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা রবিবারেও উত্তরবঙ্গে বিধান মার্কেট, মুরগিহাটি বাজার পরিদর্শন করেন। ক্যামেরাবন্দি করেন বিভিন্ন অঞ্চলের ছবি। সেই সঙ্গেই ওই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের বঙ্গ সফর ঘিরে শুরু হওয়া রাজনৈতিক টানাপড়েন এ দিন তুঙ্গে উঠেছে। করোনা-কালবেলায় পশ্চিমবঙ্গে ওই দলের উপস্থিতির পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে এ দিন তোপ দাগেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

Advertisement

ভয়াল ভাইরাসের মহামারির মোকাবিলায় যৌথ লড়াইয়ের ডাক দেওয়া হচ্ছে সর্বস্তরেই। তার মধ্যে ওই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা আসলে এ রাজ্যে বিজেপি-কে সাহায্য করতে এসেছেন বলে এ দিন অভিযোগ করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, ‘‘এঁরাই দিল্লি থেকে ভাইরাস নিয়ে এসে এখানে ছড়াচ্ছেন। ওঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হোক। তত দিন ওঁরা ঘরবন্দি থাকুন।’’

কেন্দ্রীয় দলটির নেতৃত্বে থাকা বিনীত জোশী রাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কিছু বলেননি ঠিকই। কিন্তু রাজ্যকে দোষ দিতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। আমরা ওঁদের সাহায্য চেয়ে অপেক্ষা করছি। রাজ্যের এগিয়ে আসা উচিত। লকডাউন কঠোর ভাবে বলবৎ করা উচিত।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: নতুন আক্রান্ত ছয়, ‘লাল’ গণ্ডিতেই আটকে রইল পূর্ব মেদিনীপুর

দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে সকালে ছবি তোলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতায় বিএসএফ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অতিথি নিবাস থেকে টহল শুরু করেন তাঁরা। আলিপুর চিড়িয়াখানা, কালীঘাট, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, হাজরা, জেমস লং সরণি ঘুরে বেহালা চৌরাস্তার কাছে দাঁড়ায় প্রতিনিধিদের কনভয়। তখন বেলা সাড়ে ১১টা। চৌরাস্তার আশেপাশে বেশ ভিড়। গাড়িতে বসেই ছবি তুলতে থাকেন প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা। খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ এলাকাতেও ভিড়ের ছবি তোলেন তাঁরা। শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় এ দিনেও মাস্ক ছাড়াই বহু লোককে পথে নামতে দেখা গিয়েছে।

এর পরে বিদ্যাসাগর সেতু ধরে হাওড়ায় যায় কেন্দ্রীয় দলের কনভয়। সালকিয়া ও গোলাবাড়ি এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়েন প্রতিনিধিরা। ওই সব এলাকায় রেশন ব্যবস্থার হাল এবং পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জনতার বক্তব্য শোনেন। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা পিলখানার অলিগলিতে ঘুরে ছবি তেলেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: রোজা শুরুর আগেই ভাগের আলু পৌঁছে দিলেন হোমে

উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলটি এ দিন বেলা সাড়ে ১২টার পরে একটি চা-বাগানের কারখানায় যায়। বিধান মার্কেট, মুরগিহাটি বাজারেও কিছু ক্ষণ ঘোরেন ওই প্রতিনিধিরা। সাত দিন আগে দলটি উত্তরবঙ্গে এসেছে। প্রথম তিন দিন তারা কোথাও যায়নি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন