হাঙ্গামায় ইমরানের যোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার নালিশ

ক্যানিংয়ের নলিয়াখালির গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য আহমেদ হাসান ইমরানের জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত পুলিশ করেনি বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ উঠল হাইকোর্টে। যদিও রাজ্যের জিপি বা সরকারি কৌঁসুলি এ দিন দাবি করেন, গত বছরের ওই সংঘর্ষের পরে পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করেছে। দু’টি মামলার চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। নিজেদের বক্তব্য রাজ্য হলফনামা দিয়ে জানাতে চাইলে বিচারপতি ৫ জানুয়ারি তা জমা দিতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৯
Share:

ক্যানিংয়ের নলিয়াখালির গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য আহমেদ হাসান ইমরানের জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত পুলিশ করেনি বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ উঠল হাইকোর্টে। যদিও রাজ্যের জিপি বা সরকারি কৌঁসুলি এ দিন দাবি করেন, গত বছরের ওই সংঘর্ষের পরে পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করেছে। দু’টি মামলার চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। নিজেদের বক্তব্য রাজ্য হলফনামা দিয়ে জানাতে চাইলে বিচারপতি ৫ জানুয়ারি তা জমা দিতে বলেন।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নলিয়াখালি ও তার লাগোয়া তিনটি জায়গায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ ওঠে, ইমরান কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকা থেকে সশস্ত্র গুন্ডা পাঠিয়ে সংঘর্ষে মদত দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা গোয়েন্দা দফতর তদন্ত করে যে রিপোর্টটি জমা দেয়, তাতে ইমরান জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। এর বছরখানেক পরে রাজ্যসভার নির্বাচনে ইমরানকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে জিতে রাজ্যসভার সদস্য হন ইমরান।

গোয়েন্দা রিপোর্টে ইমরানের জড়িত থাকার কথা বলা হলেও পুলিশ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়। এ দিন তার শুনানির সময় আবেদনকারীর কৌঁসুলি গোয়েন্দা রিপোর্টে ইমরানের নাম থাকা এবং তার পরেও পুলিশের সক্রিয় না হওয়া নিয়ে অভিযোগ করলে বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া রিপোর্টটি দেখতে চান। আইনজীবী জানান, গোপন ওই রিপোর্ট তাঁর কাছে নেই। একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে (আনন্দবাজার) ওই রিপোর্টটি ও সে সম্পর্কিত খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিলিপি তিনি মামলার আবেদনের সঙ্গে জমা দিয়েছেন।

Advertisement

বিচারপতি পাথেরিয়া তখন জিপি অভ্রতোষ মজুমদারের কাছে জানতে চান, মামলার আবেদনকারীর অভিযোগের তদন্ত হয়নি কেন? জিপি জানান, নলিয়াখালির ক্ষেত্রে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তও হচ্ছে। দু’টি মামলার চার্জশিটও জমা পড়েছে। জিপি এ দিন আদালতে দাবি করেন, জেলা এনফোর্সমেন্ট নলিয়াখালির সংঘর্ষ নিয়ে কোনও রিপোর্ট কোথাও জমা দেয়নি। বিচারপতির আগের দিনের নির্দেশমতো মামলার কেস ডায়েরি এ দিন আদালতে জমা দেন সরকারি কৌঁসুলি। তার পরেই হলফনামা দেওয়ার কথা বলেন। বিচারপতি ৫ তারিখ সেই হলফনামা দিতে বলে জানান, তার পরে মামলার আবেদনকারী পাল্টা হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement