Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: দিল্লি পৌঁছেই মমতার সাক্ষাৎ ‘হাওয়ালা-যোদ্ধা’ বিনীতের সঙ্গে, জল্পনায় ফের ধনখড়-যুদ্ধ

মমতা জুন মাসে রাজ্যপাল ধনখড়ের বিরুদ্ধে জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগ সমর্থন করেছিলেন বিনীত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১ ২০:২১
Share:

দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিনীত নারায়ণ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

দিল্লি পৌঁছেই হাওয়ালা-যোদ্ধা বিনীত নারায়ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সঙ্গেই ফের জল্পনায় চলে এল প্রায় ৩ দশকের পুরনো ওই মামলায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের যোগসূত্রের প্রসঙ্গ। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতার দিল্লি পৌঁছনোর খবর শুনে বিনীত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

গত মাসে জৈন হাওয়ালা-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাগ্‌যুদ্ধের সময় প্রকাশ্যে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিনীত। ২৮ জুন মমতা অভিযোগ করেছিলেন, জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে রাজ্যপাল ধনখড়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে ধনখড় বলেন, ‘‘জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। হাওয়ালা চার্জশিটে আমার নাম ছিল না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তার কোনও সত্যতা নেই।’’

Advertisement

হাওয়ালা-কাণ্ডের অন্যতম মামলাকারী সাংবাদিক তথা দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের কর্মী বিনীত এর পরেই সরাসরি ধনখড়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ তোলেন। ভিডিয়ো-বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর (ধনখড়) মিথ্যা কথা বলা উচিত নয়। আমি তাঁকে প্রশ্ন করব, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা জৈন হাওয়ালা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন কি?’’

পাশাপাশি বিনীত অভিযোগ করেন, উদ্ধার হওয়া জৈন ভাইদের ডায়েরিতে তৎকালীন ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’ ধনখড়ের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি লেখা ছিল। পাশাপাশি, প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কেরলের বর্তমান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধেও। বিনীত বলেন, ‘‘নৈতিকতার কারণে আরিফ এবং ধনখড়ের অবিলম্বে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’’

Advertisement

বিনীত নারায়ণ এবং জগদীপ ধনখড়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বিনীত দাবি করেন, হাওয়ালা কাণ্ডের অভিযুক্তদের আদৌ মুক্তি দেয়নি শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের সময় তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের মন্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। সুষমা সে সময় বলেছিলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোনও সাংবিধানিক পদে রাখা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে বিশ্বসাযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মোদী সরকার সঠিক আইনি পরামর্শ মানেনি (পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলের রাজ্যপাল নিয়োগের ক্ষেত্রে)।’’

হাওয়ালা-কাণ্ড ফের সামনে আনার জন্য ভিডিয়ো-বার্তায় মমতাকে ধন্যবাদও জানান বিনীত। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি এই মামলা লড়ছি। হাওয়ালা-কাণ্ড শুধু দুর্নীতির বিষয় নয়, এর সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অর্থের জোগানও জড়িত।’’ জড়িত।’’ এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে মমতা-বিনীত সাক্ষাৎ ঘিরে ফের সোমবার আলোচনায় চলে এসেছে হাওয়ালা-কাণ্ডে ‘ধনখড়-যোগের’ প্রসঙ্গ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন