TMC

TMC : মোদীকে রুখতে দিদিকেই প্রয়োজন, তৃণমূলে যোগ দিয়েই বললেন মুকুল সাংমা

কংগ্রেস যে ভাবে বিজেপি-র মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাতেই দিদির নেতৃত্বাধীন দলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির মানচিত্রে, এমনটাই মত মুকুলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২১ ১৩:২১
Share:

আনুষ্ঠানিক ভাবে কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল সাংমা-সহ মেঘালয়ের কংগ্রেস নেতারা। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকে রুখতে জাতীয় রাজনীতিতে দিদিকে প্রয়োজন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন মেঘালয়ের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে করে তাঁদের স্বাগত জানালেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সুব্রত বক্সী। সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করে আসেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল-সহ দলের অন্যান্য নেতারা। আর রাতে মেঘালয়ের দলীয় সভাপতি হিসাবে বিধায়ক চার্লস পিংরোপের নাম ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে অভিষেক আরও জানিয়েছেন যে, এখন থেকে মেঘালয়ে তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন পিংরোপ।

Advertisement

মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘দিদিই পারেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের নেত্রী হিসেবে দেশকে পথ দেখাতে। তাই আমরাও এই দলে সামিল হয়েছি। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীকে রুখতে জাতীয় রাজনীতিতে দিদিকেই প্রয়োজন।’’ মুকুল আরও বলেন, ‘‘আগামী ৪৫ দিনের মধ্যেই মেঘালয় জুড়ে আপনারা দেখবেন তৃণমূলকে। আমরা গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সংগঠন গড়ার কাজে হাত দেব। আশা করছি, শীঘ্রই তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করে সে রাজ্যে আমরা ক্ষমতা দখল করব।’’ মুকুলের মতে, মেঘালয়ের রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রবেশ শুধুমাত্র সে রাজ্যের জন্যই ইতিবাচক নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য আশার আলো। কংগ্রেস যে ভাবে বিজেপি-র মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাতেই দিদির নেতৃত্বাধীন দলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির মানচিত্রে, এমনটাই মত মুকুলের।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দলের যে ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সেই ১১ জনের মধ্যে জোড়াফুল শিবিরে এসেছেন পিংরোপও। এই ১২ জন দলে আসার ফলে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হয়েছে ছয়। ফলে এই মুহূর্তে মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন