Coronavirus

পৃথক ফল কেন মহুয়ার ক্ষেত্রে, প্রশ্ন বিজেপির

সাংসদ অবশ্য সেই নির্দেশ মানেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৪:৪৮
Share:

সোশ্যাল মিডিয়ার এই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

গত সপ্তাহে নবদ্বীপের একটি কোয়রান্টিন সেন্টারে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার পর স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে হোম কোয়রান্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সাংসদ অবশ্য সেই নির্দেশ মানেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন।

Advertisement

মঙ্গলবারও তাঁর বাইরে বোরোনো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জগন্নাথের তর্কবিতর্ক হয়। তার পরই বুধবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের একটি ফেসবুক পোস্টের কথা উল্লেখ করে কেন তাঁকেও কোয়রান্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্ন তুলল বিজেপি।

মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ফেসবুক পেজে কিছু ছবি আপলোড করে জানানো হয়, এ দিন তিনি পলাশিপাড়া, পলসণ্ডা ১, সাহেবনগর এলাকায় রাস্তা পরিদর্শন করেছেন এবং পলাশিপাড়ায় সোয়াব পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। পাশাপাশি এলাকার অনেক স্কুলে নেমে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এসডিও, বিডিও ও অন্য অনেক আধিকারিক ছিলেন।

Advertisement

সেই পোস্ট কেন্দ্র করেই বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে গিয়ে আবাসিক শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য যদি জগন্নাথ সরকারকে কোয়রন্টিনে থাকতে হয় তা হলে সেই একই কাজের জন্য কেন মহুয়া মৈত্রকে কোয়রান্টিনে যেতে হবে না? কেন একই যাত্রায় পৃথক ফল হবে? দলীয় সাংসদকে হেনস্তার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার চাকদহ থানার সামনে এবং বুধবার শান্তিপুর থানার সামনে অবস্থান করে বিজেপি কর্মীরা।

জগন্নাথ সরকারের বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলায় অসুবিধা কিছু নেই। আমাকে রাজনৈতিক কারণে হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হলে একই কারণে তৃণমূলের সাংসদকে একই নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না? নাকি তৃণমূল হলে আলাদা নিয়ম হবে?’’

এ দিন ফোন ধরেননি সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর নদিয়ার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ অসিত দেওয়ান বলেন, ‘‘যা বলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলবেন।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তৃণমূলের নদিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ ব্যাপারে মন্তব্য, ‘‘আমি সাংসদের পোস্ট সম্পর্কে কিছু জানি না। না জেনে মন্তব্য করব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন