সংরক্ষণের পরে দেখা যাবে দুর্লভ বৌদ্ধ পুথি

হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ পুথি ‘গাইতংপা’র মতো জাতীয় সম্পদকে দীর্ঘ ছ’বছর কালিম্পং আদালতের মালখানায় ফেলে রাখা হয়েছিল কেন, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ০৩:৩৫
Share:

হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ পুথি ‘গাইতংপা’র মতো জাতীয় সম্পদকে দীর্ঘ ছ’বছর কালিম্পং আদালতের মালখানায় ফেলে রাখা হয়েছিল কেন, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার উচ্চ আদালতে জানালেন, ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়া পুথিটিকে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বছর ছয়েক আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পদক চুরির তদন্তে নেমে কালিম্পং থেকে গাইতংপা পুথি এবং কয়েকটি প্রাচীন বুদ্ধমূর্তি উদ্ধার করে সিবিআই। কিন্তু যথাযথ সংরক্ষণের বন্দোবস্ত না-করে পুথিগুলি ফেলে রাখায় কালিম্পং আদালতের মালখানায়। সেখানকার সিন্দুকে পড়ে গাইতংপা পুথি নষ্ট হচ্ছে জেনে কলকাতা হাইকোর্ট নিজেরা উদ্যোগী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই দুর্লভ পুথি এবং বুদ্ধমূর্তি জাদুঘর-কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পুথি ও মূর্তির প্রাপ্তি স্বীকার করেও জাদুঘর-কর্তৃপক্ষ আদালতে জানান, অবহেলায় পড়ে থেকে থেকে পুথিটির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই খবরে ক্ষিপ্ত হাইকোর্ট সিবিআই-কে তুলোধোনা করেছিল। সিবিআইয়ের কাছে তারা জানতে চেয়েছিল, তারা কি জাতীয় সম্পদের গুরুত্ব বোঝে না! উপযুক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না-করে গাইতংপার মতো পুথি আদালতের মালখানায় ফেলে রাখা হয়েছিল কোন যুক্তিতে? এ দিন সেই মামলার শুনানিতে জাদুঘর-কর্তৃপক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টে জানান, পুথিগুলির সংরক্ষণ পর্ব শুরু হয়েছে। সংরক্ষণ শেষ হলে সেগুলি দর্শকদের দেখানোর ব্যবস্থা হবে।

Advertisement

ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন সিবিআই-কে বলেছে, গাইতংপা পুথি উদ্ধারের পরে কালিম্পং আদালত বিভিন্ন সময়ে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যে-সব নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি আদালতে পেশ করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন