পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি দুর্গাপুরের শিল্প মহলের

শুধু বিমান চালানোর ব্যবস্থা করলেই হবে না, শিল্পের হাল ফেরাতে প্রয়োজন পরিকাঠামো ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি— প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সাফ জানিয়ে দিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের শিল্পপতিরা। দুর্গাপুরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার বিভিন্ন বণিক সংগঠন ও শিল্পপতিদের নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ)-র অফিসে বৈঠকে বসেন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ০৪:১৩
Share:

শিল্পপতিদের নিয়ে বৈঠক।

শুধু বিমান চালানোর ব্যবস্থা করলেই হবে না, শিল্পের হাল ফেরাতে প্রয়োজন পরিকাঠামো ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি— প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সাফ জানিয়ে দিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের শিল্পপতিরা।

Advertisement

দুর্গাপুরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার বিভিন্ন বণিক সংগঠন ও শিল্পপতিদের নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ)-র অফিসে বৈঠকে বসেন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। ছিলেন পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ, এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কর্তারাও। উদ্দেশ্য, শিল্পক্ষেত্রের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা। সুযোগ পেয়েই প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সমস্যা নিয়ে মুখ খোলেন শিল্পপতিরা।

বাণিজ্যিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি অন্ডালে বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছে। কিন্তু ‘ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর কার্যকরী সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতানের বক্তব্য, ‘‘অন্ডালে বিমান চালু করা খুব ভাল উদ্যোগ। কিন্তু, এলাকায় শিল্প স্থাপনের জন্য তা কি যথেষ্ট? গত ৪-৫ বছরে নতুন শিল্প হয়নি কেন, তা ভাবা দরকার।’’

Advertisement

বস্তুত এ দিনের বৈঠকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ওঠে শিল্পতালুকগুলির হাল নিয়ে। শিল্পপতিদের ক্ষোভ, তাঁদের কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা উন্নয়ন ফি নেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। শিল্পোদ্যোগীদের একটা বড় অংশের ক্ষোভ, ‘‘রাস্তা ভাঙা। আলো নেই। নিকাশির ব্যবস্থা নেই। অনুকূল পরিবেশ না পেলে শিল্প হবে কী করে? যাঁরা আছেন, তাঁদেরই যদি এত অসুবিধায় পড়তে হয়, নতুন শিল্প আসবে কেন?’’

সিন্ডিকেটের জুলম ও তোলাবাজির জেরে এই অঞ্চলে গত কয়েক বছরে নাজেহাল হয়েছে নানা শিল্প সংস্থা। এ দিন বৈঠকে শিল্পপতিদের একাংশ সে কথাও তোলেন। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা চালাতে অসুবিধায় পড়ছেন বলে অভিযোগও করেন। কারখানা সম্প্রসারণের জন্য জমি চেয়েও না পাওয়া, কারখানার ছাড়পত্র পেতে সমস্যার কথাও জানান অনেকে।

এডিডিএ-র সিইও সুমিত গুপ্ত জানান, শিল্পতালুক ধরে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে। সে জন্য বাজেটও বরাদ্দ হয়েছে। জেলাশাসক জানান, এডিডিএ-র মাধ্যমে ‘এক-জানলা নীতি’ কার্যকরের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। শিল্পপতিরা যে সব সমস্যার কথা জানিয়েছেন, সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন