Mid Day Meal

খাস কলকাতায় স্কুলের মিড-ডে মিলে পোকা! অভিযোগ অভিভাবকের, গাফিলতি কি পুরসভার ক্যান্টিনেই?

কলকাতার একটি স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবারে পোকা থাকার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিড-ডে মিলের সার্কল অফিসার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৩
Share:

কলকাতার স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবারে ‘পোকা’! ছবি: সংগৃহীত।

খাস কলকাতার একটি স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবারে পোকা থাকার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিড-ডে মিলের সার্কল অফিসার।

Advertisement

মিড-ডে মিলে পোকা থাকার অভিযোগটি উঠেছে লেকটাউন গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলে। অভিযোগ তুলেছেন এক অভিভাবক। অভিযোগ মোতাবেক, শনিবার মিড-ডে মিলের খাবার হিসাবে বাড়িতে খিচুড়ি নিয়ে গিয়েছিল এক ছাত্রী। কিন্তু সেই খিচুড়িতেই মেলে পোকা।

স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মিড-ডে মিলের খাবার স্কুলে রান্না করা হয় না। দক্ষিণ দমদমে পুরসভা পরিচালিত সেন্ট্রাল ক্যান্টিন থেকে এই খাবার আসে। ওই ক্যান্টিন থেকেই এলাকার ১০-১২টি স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবার পাঠানো হয়। স্কুলের তরফে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়েছে।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা শোভনা চৌধুরী বলেন, “আমি ছিলাম না। স্কুলের এক অভিভাবক অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই আমরা সর্বোচ্চ স্তরে চিঠি দিয়েছি। আমাদের মিড-ডে মিল পুরসভা পরিচালিত ক্যান্টিন থেকে আসে।” মিড-ডে মিলের সার্কল অফিসার সঙ্গীতা ঘোষ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। দমদম পার্কের যে ক্যান্টিন থেকে এই মিড-ডে মিল দেওয়া হয় সেখানে আমরা পরিদর্শনে যাব। সব কিছু খতিয়ে দেখে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

প্রসঙ্গত, এই ক্যান্টিন থেকে পাঠানো খাবারকে ঘিরে বিতর্কের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৯ সালে বাঙ্গুর স্কুলেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। খাবারের মধ্যে পোকা পাওয়া গিয়েছিল। তারপর তদন্তও হয়েছিল। বাঙ্গুর স্কুলের প্রধানশিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “২০১৯ সালে আমাদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছিল। তার পর দ্রুত পুরসভাকে চিঠি দিয়ে মিড-ডে মিলের সমস্ত দায়িত্ব আমরা নিজেদের হাতে নিয়ে নিই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement