সারদা-কাণ্ডে জেরা হোক মুকুলের মুখোমুখি বসিয়ে, আর্জি কুণালের

সারদা-কাণ্ডে মুকুলের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন কুণাল। মুকুলবাবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘আগেও বলেছি, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

মুকুল রায়।

সারদা-কাণ্ড নিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে মুখোমুখি জেরায় বসতে চেয়ে সিবিআইয়ের কাছে আর্জি জানালেন কুণাল ঘোষ। সিবিআই সেই আর্জিতে গুরুত্ব না দিলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের এই সাসপেন্ডেড সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, সারদা-কাণ্ডের কোনও কিছুই মুকুলের অজ্ঞাত নয়। তাই সারদা-কাণ্ডে মুকুলের ভূমিকা ‘লঘু’ করে দেখানোর কোনও জায়গা নেই। মুকুলের সঙ্গে তাঁকে একত্রে জেরা করলে অনেক ‘সত্য’ প্রকাশ পাবে।

Advertisement

সারদা-কাণ্ডে মুকুলের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন কুণাল। মুকুলবাবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘আগেও বলেছি, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।’’

তৃণমূলে মুকুল-কুণালের সম্পর্ক সুবিদিত। দলের ভিতরে-বাইরে নানা টানাপড়েন সত্ত্বেও দু’জনে আগাগোড়া যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এ বার কুণালের পাড়ার পুজোর উদ্বোধনে মুকুলের উপস্থিতি নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে মুকুল তৃণমূল-ত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কুণাল সিজিও কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের এ সব কথা বললেন কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মুকুলের দলত্যাগকে কেন্দ্র করে যে ‘চাঞ্চল্য’ তৈরি হয়েছে, সেখানে কুণালের ভূমিকা ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো কি না, সেটাও নজর রাখছেন অনেকে। এমনকী, এত দিনের মুকুল-ঘনিষ্ঠ এই সাংসদকে কেউ কোনও ভাবে ‘ব্যবহার’ করতে চাইছেন কি না, গুঞ্জন তা নিয়েও।

Advertisement

আবার এ দিনই মুকুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সোমেন মিত্র। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু দিন আগে আমার বাড়িতে এসে উনিই বলেছিলেন, অরুণ জেটলি না থাকলে আমি বাইরে (জেলের) থাকতাম না! সারদা-কর্তার সঙ্গে ডেলোর বৈঠকে কে ছিল? নিজাম প্যালেসে মুকুলবাবুর সঙ্গে সুদীপ্তবাবুর একাধিক বৈঠক হয়েছিল। তিনি এখন কী ভাবে দায়মুক্ত হয়ে যাচ্ছেন, জানি না!’’ যদিও মুকুলের বক্তব্য, ‘‘একেবারেই বাজে কথা।’’

তবে দু’বছর আগে মুকুল-মমতা দূরত্বের মতো এ বার তাঁর তৃণমূলত্যাগও ‘সাজানো’ বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন সোমেনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায় এবং কেন্দ্রের মধ্যে এটা একটা প্রক্রিয়া চলছে না, কে বলতে পারে?’’

তৃণমূলে থাকার সময়ে দেদার দল ভেঙেছেন মুকুল। তৃণমূলের বাইরে গিয়েও তিনি আবার দল ভাঙানোর চেষ্টা করতে পারেন, তা ধরে নিয়েই সতর্কতা জারি করেছে সিপিএম-ও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন