থানা নয়, দু’দিনের জন্য মুসার ঠিকানা লালবাজার

লালবাজার সূত্রের খবর, এক রক্ষীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগের মামলায় বুধবার আইএস জঙ্গি মসিরুদ্দিন মুসাকে সেন্ট্রাল জেল থেকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২৫
Share:

মসিরুদ্দিন মুসা

সম্প্রতি জেলের ভিতরে এক রক্ষীকে খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে এক জঙ্গির বিরুদ্ধে। এ বার ওই মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গিকে আর থানায় না রেখে আগামী দু’দিন লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে রাখার সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ। সেখানেই পৃথক সেলে তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে লালবাজারের লকআপে গিয়ে ওই আইএস জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, এক রক্ষীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগের মামলায় বুধবার আইএস জঙ্গি মসিরুদ্দিন মুসাকে সেন্ট্রাল জেল থেকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। আলিপুর থানার তদন্তকারীরা বিচারকের কাছে তার পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক মুসাকে দু’দিন পুলিশি হেফাজত দেন। রাতেই তাকে সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে আলিপুর জেলের ১৩ নম্বর সেল ব্লকের দু’নম্বর সেল খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই মসিরুদ্দিন মুসা নামে ওই জঙ্গি প্রথমে পাথরের চাঁই দিয়ে কারারক্ষী গোবিন্দ দে’র মাথায় পিছন থেকে আঘাত করে। কারারক্ষী মাটিতে পড়ে যেতেই গজাল জাতীয় অস্ত্র দিয়ে মুসা ওই রক্ষীর গলায় আঘাত করে। অন্য কারারক্ষীরা এসে গোবিন্দকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে সূত্রের খবর। লালবাজার জানিয়েছে, ওই ঘটনায় মুসার বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে আলিপুর থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ রুজু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুসাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে তদন্তকারীরা এ দিন আদালতে আবেদন করেন।

Advertisement

কেন থানার লকআপে রাখা হবে না মুসাকে।

তদন্তকারীরা জানান, মুসা জেলের মধ্যে পৃথক সেলে ছিল ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে। সেখানে নজরদারি এড়িয়ে বড় পেরেক বা গজালকে ধার দিয়ে ধারালো করে কারারক্ষীকে আঘাত করে সে। তাঁদের দাবি, থানায় একটি মাত্র লকআপ রয়েছে। সেখানে অন্য বন্দিরাও থাকে। অন্য বন্দিদের সঙ্গে মুসাকে এক সঙ্গে রাখা বিপজ্জনক হতে পারে অনুমান করেই সেন্ট্রাল লকআপে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত মহিলা ছাড়া থানার কোনও আসামীকে লালবাজারে পাঠানো হয় না। এ ক্ষেত্রে পুলিশকর্তারা কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হননি। এক কর্তা বলেন, ‘‘লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপের পৃথক সেলের বাইরে সব সময় এক জন নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন থাকবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন