প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্য কমিশন বেঁধে দেওয়া মাসুল-হার মেনে চিকিৎসা করার প্রস্তাব দেওয়ায় অধিকাংশ হাসপাতাল ও নার্সিংহোম-কর্তৃপক্ষ দোলাচলে পড়ে গিয়েছিলেন। কলকাতার বেশ কিছু নামী বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম শেষ পর্যন্ত কমিশনকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিল, তাদের পক্ষে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাসুল-হার মেনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। বাকিরা মতামত জানাতে আরও কিছু দিন সময় চেয়েছে।
৫ জুন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন থেকে একটি নির্দেশ জারি করে বলা হয়, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বেঁধে দেওয়া বিভিন্ন চিকিৎসা প্যাকেজের হার মেনে বেসরকারি হাসপাতালগুলি পরিষেবা দিতে পারবে কি না, তা তাদের থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে। মতামত জানানোর শেষ তারিখ ধার্য হয় ১৬ জুন। আজ, শুক্রবার সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমিশনের এই প্রস্তাবে টানাপড়েন শুরু হয় অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে। কারণ, স্বাস্থ্য সাথীর প্যাকেজ মেনে নিলে ব্যবসায় বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা আর না-মানলে সরকারের কোপে পড়ার ভয়। কী করণীয়, তা ঠিক করতে কয়েক দিন আগে মধ্য কলকাতার এক নার্সিংহোমে হাসপাতালগুলির কর্তাদের গোপন বৈঠকও হয়। সেখানে বেশির ভাগ সংস্থার কর্তারাই জানান, স্বাস্থ্য সাথীর প্যাকেজ মানতে গেলে তাঁরা কোনও ভাবেই উন্নত মানের পরিষেবা দিতে পারবেন না। চিকিৎসকেরাও এত কম টাকায় কাজ করতে চাইবেন না। ফলে তাঁদের ব্যবসা তুলে দিতে হবে। বৃহস্পতিবার বেলভিউ, ফর্টিস-এর মতো অনেক হাসপাতালই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষে এই মাসুল-হার মানা সম্ভব নয়। ডিসান, আমরি, সিএমআরআই, পিয়ারলেস, অ্যাপোলোর মতো অনেক হাসপাতাল বক্তব্য জানাতে আরও ছ’সপ্তাহ সময় চেয়েছে।