Jadavpur University

ফেরাতেই হবে প্রবেশিকা, যাদবপুরে অনশন শুরু পড়ুয়াদের

ইতিমধ্যে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। এমন অচলাবস্থা চলতে থাকলে তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ১১:৫৩
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।

এবার কলা বিভাগে প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে অনশনে বসলেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। শুক্রবার রাত থেকেই চলছে অনশন কর্মসূচি। উপাচার্যের উদ্দেশে ছাত্রছাত্রীদের হুঁশিয়ারি, “যতক্ষণ না পর্যন্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হচ্ছে, অনশন চলবে।”

Advertisement

ইতিমধ্যে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। এমন অচলাবস্থা চলতে থাকলে তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় শনিবারও জট কাটার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। অ্যাডমিশন কমিটি তাদের সিদ্ধন্তে অটল। কোনও মতেই আর প্রবেশিকা ফেরাতে নারাজ তারা। উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতেই এ বছর কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে ভর্তি হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: যাদবপুরে অচলাবস্থা অব্যাহত, কেশরী-পার্থের কাছে সুরঞ্জন

এদিকে পড়ুয়ারাও তাদের কর্মসূচি থেকে সরছেন না। উল্টে অনশন শুরু করে পাল্টা চাপে রাখতে চাইছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই এখন দেখার।

প্রথমে ৩ থেকে ৬ জুলাই। পরে ১১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কলাবিভাগের প্রবেশিকার দিন ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। পরে তা প্রত্যাহার করে বলা হয় উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই স্নাতকস্তরে কলাবিভাগে ভর্তি নেওয়া হবে। এর পরেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

একদিকে ফর্ম ফিলআপ চলছে। অন্যদিকে আন্দোলন। আদৌ কলাবিভাগে আবেদনকারীদের ভবিষ্যত কী, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ভর্তি প্রক্রিয়া বয়কট করেছেন ইংরাজি, তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপকেরা। অন্যান্য বিভাগের অধ্যাপকেরাও রাজি নন, নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্তে।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাস সাক্ষাৎকারে প্রচুর চাকরি, দাবি যাদবপুরের

ছাত্র এবং অধ্যাপকদের পাশে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক সংগঠন জুটা। তারাও বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের পথে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। শুক্রবারই তারা কর্মবিরতি পালন করেছে। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর, ফের অন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে কমপক্ষে ১২০ দিন সময় নিতে হয়। তা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত বদল বেআইনি। জুটা জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তারা মৌন মিছিল করবে। ছাত্র-অধ্যাপকদের সেই মিছিলে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। ১১ জুলাই গাঁধী ভবনে কনভেনশনের ডাক দিয়েছে জুটা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন