Jail Radio

কারাগারে করোনার বার্তা গেল রেডিয়োয়

করোনা-পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৬০টি জেলের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে সোমবারেই নির্দেশিকা পাঠান ডিজি (কারা) অরুণ গুপ্ত।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৫:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি

বন্দিদের একঘেয়েমি কাটিয়ে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটাতেই রেডিয়ো স্টেশনের সূচনা করেছিল কারা দফতর। এ বার রেডিয়ো স্টেশনের মাধ্যমে করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য আর বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের ফারাক বোঝানো হল চার হাজারের বেশি বন্দিকে। দমদম সেন্ট্রাল জেলে। তার সঙ্গে বারুইপুর, প্রেসিডেন্সি, মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, বর্ধমান সেন্ট্রাল জেল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, মুক্ত, বিশেষ, মহকুমা এবং আলিপুর মহিলা জেলে করোনা-সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয়েছে বন্দিদের। পোস্টারও পড়েছে জেলের বিভিন্ন প্রান্তে।

Advertisement

করোনা-পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৬০টি জেলের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে সোমবারেই নির্দেশিকা পাঠান ডিজি (কারা) অরুণ গুপ্ত। ১৮৯৭ সালের ‘দ্য এপিডেমিক ডিজ়িজ়েস অ্যাক্ট’ বা মহামারি রোগ আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ দিন ‘রেডিয়ো দমদম’-এর মাধ্যমে এই দুই বিষয়ে সবিস্তার তথ্য বন্দিদের জানান জেল-কর্তৃপক্ষ। সেখানে ছিলেন জেলের চিকিৎসকও। অন্য সব অনুষ্ঠানের মতো এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রান্ত অনুষ্ঠান পরিচালনার ভার পড়েছিল বন্দি ‘রেডিয়ো জকি’র উপরেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘রেডিয়ো দমদম’ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় জেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে টিভি চলে। তবে এ দিন করোনা সংক্রান্ত বিশেষ অনুষ্ঠান রেডিয়ো স্টেশনের মাধ্যমে সম্প্রচারিত করার জন্য সেই টিভি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ছিল বলে কারা দফতর সূত্রের খবর।

দফতরের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলে ‘আইসোলেশন সেল’ গড়া হয়েছে। নবাগত বন্দিদের সামগ্রিক পরীক্ষাও চলছে। করোনার দাপট বেড়ে চলা রাজ্য বা এলাকা থেকে এলে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের আলাদা রাখা হচ্ছে। সোমবার বঙ্গের দু’টি জেলে এমনই দু’টি রাজ্যের পাঁচ বাসিন্দা এসেছেন। তাঁদের কোয়রান্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এক মহকুমা জেলে গিয়ে করোনা মোকাবিলার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং অন্য পদস্থ কর্তারা।

Advertisement

বিচারাধীন বন্দিদের আদালতে না-তুলে ভিডিয়ো-সম্মেলনে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করছেন বিভিন্ন জেল কর্তৃপক্ষ। এক কারাকর্তা বলেন, ‘‘সাবধানের মার নেই। এক বার ছড়িয়ে পড়লে (ভাইরাস) তখন আর কেউ রক্ষা পাবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন