অবৈধ খাদান থেকে তোলা পাথর নিয়ে একটি ট্রাক যাচ্ছে শুনে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক বিপ্লব হালদার। ট্রাকটিকে দেখতেও পান তাঁরা। কিন্তু সামনে সরকারি গাড়ি দেখেই চালক ট্রাকের গতি বাড়িয়ে দেন। এ পর ওই গাড়িটি বিপ্লববাবুর গাড়িটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় শিলিগুড়ির দিকে।
তাতে কেউই অবশ্য আহত হননি। বরং ঘন কুয়াশার মধ্যেই ট্রাকটিকে তাড়া করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত তাঁরা ট্রাকটিকে ধরেও ফেলেন। যদিও চালককে ধরা যায়নি। তিনি পালিয়েছেন। ট্রাকটি শিলিগুড়িরই এক ব্যবসায়ীর বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী ট্রাকটি ভাড়া দিয়েছিলেন। তবে কে ভাড়া নিয়েছিলেন, তা পুলিশ জানাতে চায়নি।
শুক্রবার ভোর ৬টা নাগাদ এই ঘটনার পরে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরেরই এক কর্মী এই বিষয়ে বলেন, ‘‘অবৈধ খাদান চক্র কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তারই প্রমাণ মিলল এই ঘটনায়। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে সরকারি গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার সাহসও তারা পাচ্ছে।’’ জাতীয় সড়কের উপরে যে জায়গায় ট্রাকটি বিপ্লবাবুর গাড়িতে ধাক্কা দেয়, তা জলপাইগুড়ি শহর থেকে মাত্র ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে।
পুলিশের দাবি, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়ে অভিযান করলে এমন কাণ্ড হত না। জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “অবৈধ খাদান নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলার সব থানাকে সর্তক করা হয়েছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকেও যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। জেলার যে কোনও প্রান্তে অভিযান করতে চাইলে পুলিশের সব রকম সহযোগিতা থাকবে।’’
বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্রাকটিকে দাঁড় করাতে যাই। ট্রাকটি না থেমে প্রথমে আমাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। কোনও মতে রক্ষা পেয়েছি। তার পরে ধাওয়া করে ট্রাকটিকে ধরতে পারা গিয়েছে।’’ ওই ট্রাকটিকে ধরার আগে অন্য একটি ট্রাককে তাঁরা ধরেছিলেন। বিকেলেও তিস্তা সেতু থেকে বালি বোঝাই আরও একটি ট্রাক ধরেছেন তাঁরা।