ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। ফাইল চিত্র
এ বার ‘অতুল্য ভারতে’র পর্যটন মানচিত্রে ঢুকে পড়ল ঝাড়গ্রাম। রাজবাড়ি-সহ অরণ্য শহরের দু’টি বেসরকারি অতিথিশালার নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘরকে ‘হোম স্টে’-র স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক।
ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজপ্রাসাদের মধ্যেই রয়েছে রাজ পরিবার পরিচালিত অতিথিশালা— ‘দ্য প্যালেস ঝাড়গ্রাম’। মূল প্রাসাদের একতলার একটি ব্লকের পাঁচটি ঘরকে ‘হোম স্টে’-র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শহরের কেকেআই মোড়ের কাছে ওয়েসিস অতিথিশালার দু’টি ঘরকেও হোম স্টে-র স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। এখন থেকে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে সার্চ করে ঝাড়গ্রামের ওই দু’টি ‘হোম স্টে’-র খুঁটিনাটি তথ্য পাবেন বিদেশি পর্যটকেরাও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পর্যটকেরা সরাসরি ‘হোম স্টে’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগাম বুকিংও করতে পারবেন। মহাষ্টমীর দিন থেকে রাজবাড়ি এবং সপ্তমীর দিন থেকে ওয়েসিসের ‘হোম স্টে’র বুকিং চালুও হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ‘ভারত পর্যটন-কলকাতা’ (ইন্ডিয়া ট্যুরিজম-কলকাতা)-এর সহকারী অধিকর্তা সিদ্ধার্থরঞ্জন চৌধুরী বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম এই তিন জেলার মধ্যে একমাত্র ঝাড়গ্রামেই এই প্রথমবার দু’টি হোম স্টে-কে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক।”
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ হলে তবেই যোগ্যতামান অনুযায়ী হোম স্টে-র স্বীকৃতি দেওয়া হয়। শর্তগুলির মধ্যে অন্যতম হল— ‘হোম স্টে’ তে বাড়ির মালিককে সেখানে থাকতেই হবে। প্রতিটি ঘর ১২০ থেকে দেড়শো বর্গ ফুটের হতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি ঘরের সঙ্গে ৩০ থেকে ৩৬ বর্গফুটের পশ্চিমি ধাঁচের শৌচাগার থাকা বাধ্যতামূলক। পর্যটন মন্ত্রকের ৩৫ পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে তবে ‘হোম স্টে’-র অনুমোদন ও শংসাপত্র দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের দু’টি ‘হোম স্টে’-কে ‘সিলভার’ তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক।
ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ‘হোম স্টে’-র সঞ্চালক বিক্রমাদিত্য মল্লদেব, ওয়েসিস হোম স্টে-র কর্ত্রী দেবযানী কর্মকার বলেন, “কয়েক দশক ধরে আমরা অতিথিশালা চালাচ্ছি। তবে এ ধরনের সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার পরে আমাদের লক্ষ্য কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ‘গোল্ড’ তালিকাভুক্ত হওয়া।” এ জন্য অবশ্য প্রতিটি ঘরে মিনি ফ্রিজ থাকতে হবে। মেশিনে কাপড় কাচা ও শুকোনোর ব্যবস্থাও রাখতে হবে। ঘরগুলি ও শৌচাগারের আয়তনও বাড়াতে হবে।