JMB

খাটের নীচ থেকে জেএমবি জঙ্গি ধরল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ

এসটিএফ সূত্রের খবর, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তিন শীর্ষ নেতার এক জন এই করিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৩:৪৮
Share:

আব্দুল করিম

গোয়েন্দা পুলিশের হানার পরে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বাড়িছাড়া। মাস দুয়েক আগে বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেছিল। এক পরিচিতের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও রেখেছিল। সেই সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গ্রেফতার করেছে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ তথা জেএমবি-র এ রাজ্যের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক আব্দুল করিম ওরফে বড় করিমকে। জাল টাকা পাচার ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় শুক্রবার ভোর রাতে তাকে মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১২ জুন পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। ২০১৮ সালে পয়গম্বর শেখ নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতারের পরে জানা যায় করিমের নাম। ওই মামলায় জড়িত জেএমবি-র ছয় জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে। করিম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করিয়েছিলেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

এসটিএফ সূত্রের খবর, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তিন শীর্ষ নেতার এক জন এই করিম। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে করিমের বাড়িতে হানা দিয়ে গোয়েন্দারা পটাশিয়াম নাইট্রেট, ল্যাপটপ ও রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেন। কিন্তু করিমকে ধরা যায়নি। গোয়েন্দারা এ দিন জানান, এত দিন কোথায় লুকিয়ে ছিল, জেরায় তা বলতে চায়নি করিম।

কী ভাবে পুলিশের জালে উঠল এই জঙ্গি নেতা? এসটিএফ জানায়, বিভিন্ন মাধ্যমে করিমের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল। মাস দুয়েক আগে খবর মেলে সুতিতে তার বাড়ির এলাকার আশেপাশে দেখা গিয়েছে করিমকে। বাড়িতে না-গেলেও এক জনের মাধ্যমে কাগজে কিছু লিখে পাঠাত সে। সেই মতো খোঁজ শুরু হলে চলতি সপ্তাহে জানা যায়, গাজিপুরে রয়েছে করিম। বৃহস্পতিবার রাতে সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়, সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গত দেড় মাস ধরে থাকছে সে। এক তদন্তকারী জানান, সে রাতেই স্থানীয় পুলিশকে নিয়ে ঘিরে ফেলে হয় ওই বাড়ি। এক প্রতিবেশীকে দিয়ে দরজা ধাক্কা দেওয়া হয় জরুরি কাজ আছে বলে। দরজা খুললে, শুরু হয় তল্লাশি। দেখা যায় একটি খাটের নীচে লুকিয়ে রয়েছে করিম। এক গোয়েন্দা-কর্তার কথায়, স্ত্রী, পাঁচ সন্তান ও বাবা-মা, ভাইদের টানে যোগাযোগ করতে গিয়েই পুলিশের নজরে আসে ওই জঙ্গি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে নতুন রাস্তাটা, ঠেকাতে মরিয়া ড্রাগন

আরও পড়ুন: আর্থিক বৃদ্ধি গত ১১ বছরে সর্বনিম্ন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন