বিকাশ ভবনে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিহারারা। —নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কেন থাকলেন না বৈঠকে? শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সেই অসন্তোষের কথাই শোনা গেল চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কণ্ঠে। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষাসচিবের কাছে একাধিক প্রশ্ন রাখেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, সব প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। কিছু উত্তর পাওয়া গিয়েছে। এর পরে তাঁদের আন্দোলন কোন পথে হবে, তারও আভাস দিলেন চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, এ বার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী! যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়, সোমবারের বৈঠক ইতিবাচকই হয়েছে।
বিকাশ ভবনের সামনে ২১ দিন ধরে ধর্না দিচ্ছে চাকরিহারাদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। চিঠিও দিয়েছেন। সরকারকে সোমবার পর্যন্ত ‘ডেডলাইন’ও বেঁধে দেন তাঁরা। তাঁদের দাবিমতোই চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সোমবার বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার এবং সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পের ডিরেক্টর শুভ্র চক্রবর্তী।
বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছিলেন বলেই জানান চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা না দিয়ে চাকরিতে ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের বহাল রাখুক সরকার! বৈঠকেও সেই দাবি জানানো হয়। বৈঠক শেষে চাকরিহারাদের পক্ষে বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারের তরফে পুনর্বিবেচনা মামলার জন্য যে খসড়া করা হয়েছে, তা আমাদের দেখিয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি দেখেছি। দেখে ঠিকই মনে হয়েছে।’’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ মে-র মধ্যে নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। তবে তাতে আপত্তি রয়েছে বলে জানান চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে কী ভাবে ‘যোগ্য’দের চাকরিতে পুনর্বহাল করা যায়, তা দেখুক সরকার। পুনর্বিবেচনা মামলার রায়ের আগে বি়জ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার দাবি চাকরিহারাদের। বৃন্দাবনের কথায়, ‘‘রিপ্যানেল করে চাকরি নিশ্চিত করা হোক।’’
সোমবারের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী না থাকায় অখুশি চাকরিহারারা। তাঁদের কথায়, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী না থাকায় আমরা আশাহত। সব প্রশ্নের উত্তর ওদের (শিক্ষাসচিবদের) কাছে ছিল না। কিছু প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।’’ এর পরেই চাকরিহারারা জানান, তাঁদের আন্দোলন আর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। দিল্লিতেও আন্দোলন হবে। তাঁদের কথায়, ‘‘সকলে জানুক আমাদের সঙ্গে কী হয়েছে। আদালতও আমাদের সঙ্গে সুবিচার করেনি।’’