সারদা মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বারাসত আদালতের বিচারক সোমনাথ চক্রবর্তী। শুক্রবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআইয়ের আইনজাবী জানিয়েছেন, কবে চার্জশিট দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। এ দিনের শুনানিতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার গরহাজির থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য হুলিয়া জারির নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
সারদা মামলায় অভিযুক্তরা এ দিন আদালতে অভিযোগ করেন, তদন্তের কাজে সিবিআই অযথা দেরি করছে। তারা চূড়ান্ত চার্জশিট না-দেওয়ায় হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। শুনানির শেষে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তদন্তের নামে নজিরবিহীন ভাবে ছেলেখেলা করছে সিবিআই।’’ এই ভাবে চলতে থাকলে জেলেই তাঁর মৃত্যু হবে বলেও আক্ষেপ করেন তিনি। শুনানির সময় বিচারকও ক্ষুব্ধ হয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কবে তদন্ত
শেষ করে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ
করা হবে? সিবিআইয়ের আইনজীবী প্রথমে জানান, কিছুটা সময় লাগবে। পরে বলেন, এক বছরের মতো
সময় প্রয়োজন। কিন্তু বিচারক জানিয়ে দেন, এত সময় দেওয়া যাবে না। তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে সময়সীমা জানানোর
নির্দেশ দেন তিনি। সিবিআইয়ের
পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া
হবে। তখন বিচারক জানিয়ে দেন, চার্জশিট ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতেই হবে।
তদন্তকারী অফিসারের অনুপস্থিতি নিয়েও এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। ওই অফিসার এর আগেও যে গরহাজির ছিলেন সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির নির্দেশ দেন তিনি।
এ দিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র আদালতের কাছে পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। তিনি জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি পদযাত্রায় তাঁর উপস্থিত থাকার কথা। তা ছাড়া, সংগঠনের কাজে দেশের অন্যত্র সহজে ঘোরাফেরার অনুমতিও চান তিনি।