Calcutta High Court

রাজ্যের আপত্তিতে পাহাড় মামলা ছেড়ে দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি, তদন্ত নিয়ে সিআইডিকে ধমক

পাহাড়ের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৪
Share:

পাহাড়ের দু’টি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

পাহাড়ের জোড়া মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলা দু’টির শুনানিতে তাঁর এক্তিয়ার নেই বলে জানায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের আপত্তির পরেই দু’টি মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি বসু। কোন বিচারপতির এজলাসে এই দুই মামলার শুনানি হবে, তা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠিক করবেন। তবে মামলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও সিআইডির তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বসু।

Advertisement

পাহাড়ের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই মামলার অন্তত ২৫টি শুনানি বিচারপতি বসুর এজলাসে হয়েছে। সিআইডির তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সিআইডির ডিআইজিকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিতেও বলেছিলেন। কিন্তু বুধবার বিচারপতি বসুর এজলাসে ওই মামলার শুনানিতে আপত্তি জানায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত জানান, মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অন্তর্গত। তাই হাই কোর্টের প্রধান বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হওয়া উচিত নয়। বিচারপতি বসুর মামলাটি শোনার এক্তিয়ার নেই।

রাজ্যের আপত্তি শুনে মামলা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘মামলা ছেড়ে দিতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু এই দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। কেন অভিযুক্তদের তলব করা হয়নি? এত দিনে তদন্তকারী সংস্থা কী পদক্ষেপ করেছে?’’ উল্লেখ্য, পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাংয়ের। সিআইডির তরফে কেন তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।

Advertisement

পাহাড়ের আরও একটি মামলা থেকে বুধবার সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি বসু। উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ সংক্রান্ত মামলাটিও তিনি শুনছিলেন। কিন্তু এই মামলায় তাঁর শুনানির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর এই মামলাও ছেড়ে দেন বিচারপতি বসু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement