ফাইল চিত্র
মতুয়া সম্প্রদায়ের ‘নিয়ন্ত্রক’ বড়মা বীণাপাণিদেবী যে তাঁদের সঙ্গে তা প্রমাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তাঁকে হাজির করানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল শিবির। উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকের পরে ঠাকুরনগরে এই প্রকাশ্য জনসভা হবে। এই কর্মসূচি সরকারি হলেও বড়মার সঙ্গে থাকবেন মতুয়া মহাসঙ্ঘ নামে সংগঠনের তিন কমিটির সদস্যেরাও। সোমবার এ নিয়ে ‘ঠাকুরবাড়ি’ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার বড় অংশে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রভাব রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে সেই প্রভাব নিজেদের পক্ষে নিশ্চিত করতে চাইছে শাসক শিবির। আগামী মাসে ঠাকুরবাড়ির পাশেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের পরিকল্পনাও সেই কারণে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন তার প্রস্তুতি শুরু করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। এই বৈঠকে মতুয়া সম্প্রদায়ের ‘মা’ হিসাবে পরিচিত বীণাপানিদেবীকে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে রাখা নিয়ে কথা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘সাংসদ তথা পুত্রবধু মমতা ঠাকুরের কাছে বড়মা সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। নেত্রীর সঙ্গে বড়মা’র মা-মেয়ে’র সম্পর্ক। তিনি এলে আমরা নিশ্চই ব্যবস্থা করব।’’ মন্ত্রী জানান, বড়মা ছাড়াও মতুয়া মহাসঙ্ঘের যে কমিটিগুলি রয়েছে তার সদস্যরাও অতিথি হিসাবে ১৫ নভেম্বরের প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন।
মতুয়া ভোটে ভাগ বসাতে বরাবরই রাজনৈতিক টানাটানি রয়েছে। এই অংশে তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্যে ভাঙতে বিজেপিও দুই জেলায় বড় দু’টি সভা করেছে। তাই মতুয়া সম্প্রদায়ের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে প্রশাসনিক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য সভায় দলের শক্তির প্রমাণ দিতে চাইছে তৃণমূলও।
বড়মা’র ১০০ বছর উপলক্ষ্যে বর্ষব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে তাঁর মতুয়া মহাসঙ্ঘ। সেখানেও জুড়ে থাকতে চাইছে শাসক নেতৃত্ব।