খাগড়াগড়ে সাক্ষ্য বাড়ির মূল মালিকের

২০১৪-র ২ অক্টোবর দুপুরে ওই বিস্ফোরণের পর থেকে এত দিন জানা ছিল, বাড়ির মালিকের নাম মহম্মদ হাসান চৌধুরী। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষ জানান, বাড়ির মালিকানা আছে হাসানের ছেলে আশরাফের নামেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৫০
Share:

পাশাপাশি দু’‌টো বাড়িই তাঁদের। বছর তিনেক আগে খাগড়াগড়ের যে-দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তার মালিক ঘটনার সময়ে পাশের বাড়িতে স্নান করছিলেন। বুধবার সাক্ষ্য দিতে এসে সেই বাড়ি-মালিক আশরাফ আলি চৌধুরী কলকাতার এনআইএ আদালতে এ কথা জানান বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

২০১৪-র ২ অক্টোবর দুপুরে ওই বিস্ফোরণের পর থেকে এত দিন জানা ছিল, বাড়ির মালিকের নাম মহম্মদ হাসান চৌধুরী। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষ জানান, বাড়ির মালিকানা আছে হাসানের ছেলে আশরাফের নামেই।

আদালত সূত্রের খবর, আশরাফ এ দিন বিচারকের সামনে বলেছেন, তাঁর বাবা বাড়ির দোতলাটি কাদের ভাড়া দিয়েছেন, তা তিনি জানতেন না। আশরাফ থাকতেন পাশের বাড়িতে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি দোতলায় উঠে দেখেন, তাঁদের ভাড়া দেওয়া বাড়ির দরজায় ভিতর থেকে তালা দেওয়া। দুই মহিলা ভিতর থেকে জানিয়ে দেন, কিছুই হয়নি। আর ঘরে কোনও পুরুষ নেই বলে দরজা খোলা যাবে না। পরে দমকল ও পুলিশের সঙ্গে তিনি ভিতরে ঢুকে সাত জনকে দেখতে পান। তাঁদের মধ্যে এক জন পুরুষ নিহত এবং দু’জন পুরুষ আহত (এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক), দুই মহিলা আর তাঁদের দুই শিশু সন্তান।

Advertisement

সেই দুই মহিলা, মামলায় অভিযুক্ত এবং জঙ্গি সংগঠন জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-র দুই সন্দেহভাজন সদস্যা আলিমা বিবি ও রাজিয়া বিবি এ দিন শিশু সন্তানদের নিয়ে আদালতে হাজির ছিলেন। আশরাফ জানান, এঁরাই সেই দুই মহিলা। অভিযুক্তদের আইনজীবী ফজলে খান ও মহম্মদ আবু সেলিম তখন প্রশ্ন তোলেন, বোরখায় মুখ ঢাকা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে সাক্ষী তাঁদের শনাক্ত করছেন? ওই দু’জন মুখের কাপড় সরানোর পরে আশরাফ ফের তাঁদের শনাক্ত করেন।

যাঁদের উপস্থিতিতে বিস্ফোরণস্থলে পাওয়া জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, আশরাফ তাঁদের এক জন। বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র কেন চারটি বাক্সে সিলবন্ধ অবস্থায় নেই, অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এ দিন সেই প্রশ্নও তোলেন।

এনআইএ-র কৌঁসুলি জেরা করলেও অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এ দিন তাঁকে কোনও প্রশ্ন করেননি। তাঁরা আদালতে আবেদন করেছেন, এই ধরনের ছ’-সাত জন সাক্ষীকে এনআইএ-র কৌঁসুলির জেরা পর্ব শেষ হওয়ার পরেই তাঁদের টানা জেরা শুরু করার অনুমতি দেওয়া হোক। আজ, বৃহস্পতিবার এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। তবে এনআইএ এর বিরোধিতা করবে বলে আদালতের খবর। আজ গোপাল সোনকার নামে এক ব্যক্তির সাক্ষ্য দেওয়ার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন