Tripura

TMC: পুলিশের কাজে ‘বাধা’, অভিষেক-সহ তৃণমূলের ৬ নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ত্রিপুরায়

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, প্রকাশ দাস এবং সুবল ভৌমিক— এই ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২১ ১০:০৫
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের পাঁচ নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করল ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ। বুধবার টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘অন্যায় ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একগুচ্ছ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা এবং প্রকাশদার বিরুদ্ধে আইপিসি ১৮৬/৩৪ ধারায় নিজের থেকে মামলা করেছে খোয়াই থানার পুলিশ। ভয় পেয়েছে বিজেপি।’

Advertisement

অভিষেক ছাড়াও যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁরা হলেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, প্রকাশ দাস এবং সুবল ভৌমিক। পুলিশের কাজে ‘বাধা’ দেওয়া, ‘অভব্য আচরণের’ অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে খোয়াই থানার পুলিশ।

অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, ধৃত তৃণমূল কর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অভিষেক-সহ তৃণমূলের পাঁচ নেতা-মন্ত্রী খোয়াই থানায় পৌঁছন। তাঁরা খোয়াইয়ের এসডিপিও রাজীব সূত্রধরের সঙ্গে ধৃত তৃণমূল নেতাদের বিষয়ে কথা বলেন। এর পরই খোয়াইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সেনগুপ্ত থানায় আসেন। তৃণমূলের নেতারা তখন পুলিশের কাছে ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া এবং তাঁদের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা পরিবর্তন করার দাবি জানান। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই দাবি মানা সম্ভব নয়। তার পরই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং এসডিপিও-র সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন।

Advertisement

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, এর পরই তৃণমূলের ওই পাঁচ নেতা-মন্ত্রী খোয়াই থানার ওসি-র ঘরে ঢুকে চেঁচামেচি করেন। পুলিশের তরফে তাঁদের চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। ধৃত তৃণমূল কর্মীদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী এবং মহিলা পুলিশ থাকা সত্ত্বেও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোনও বলপ্রয়োগ করা হয়নি বলেও দাবি করেছে পুলিশ।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ফলে ধৃতদের সেই মুহূর্তে আদালতে পেশ করা যায়নি। পরে তাঁরা তাঁদের অবস্থান থেকে সরলে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। তার পরই ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন