জয়প্রকাশ মামলায় নথি যাচাই আদালতের

অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের আলাপ সুপ্রিম কোর্টে মামলার আগে হয়েছিল না পরে, সেই প্রশ্ন নিয়ে টানাপড়েনেই ঝুলে আছে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের জামিন মামলা। এই অবস্থায় আদালতে জমা পড়া নথি পরীক্ষা করে দেখতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০০
Share:

অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের আলাপ সুপ্রিম কোর্টে মামলার আগে হয়েছিল না পরে, সেই প্রশ্ন নিয়ে টানাপড়েনেই ঝুলে আছে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের জামিন মামলা। এই অবস্থায় আদালতে জমা পড়া নথি পরীক্ষা করে দেখতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মঙ্গলবার জানান, জামিনের প্রশ্নে ওই নথি তিনি পরীক্ষা করে দেখবেন।

Advertisement

আদালতের কোন নথি, কী কারণে খতিয়ে দেখতে চায় হাইকোর্ট?

বিশেষ সরকারি আইনজীবী শিলাদিত্য সান্যাল এবং হাইকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্বে থাকা প্রসূন দত্ত এ দিন অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা এবং মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেট (শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা)-এর কয়েক জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। এবং ব্যাপারটা এখন নিছক অভিযোগের মধ্যেই আটকে নেই। পুলিশের কাছে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন খোদ অভিযুক্তই। সরকারি কৌঁসুলিদের দাবি, ওই পরীক্ষার্থীরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিতে জানান, তাঁরা জয়প্রকাশকে টাকা দিয়েছেন।

Advertisement

কিন্তু জয়প্রকাশের আইনজীবী ভাস্কর সেন ও ফিরোজ এডুলজি এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করার তারিখ আর অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীদের পরিচয়ের দিনক্ষণের ফারাকটা এই অভিযোগ আদৌ সমর্থন করছে না। যাঁরা গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রদ্যোত হালদার নামে এক পরীক্ষার্থী টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ২০১৪ সালে। শীর্ষ
আদালত ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকেই মামলাটি হাইকোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। অথচ প্রদ্যোত-সহ অভিযোগকারীরা জানাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্ট যে-দিন মামলাটি উচ্চ আদালতে পাঠায় (৯ ডিসেম্বর), তার অন্তত পাঁচ দিন পরে, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর জয়প্রকাশের সঙ্গে তাঁদের আলাপ-পরিচয় হয়েছিল। জয়প্রকাশের কৌঁসুলিদের প্রশ্ন, শীর্ষ আদালতে মামলার পরে যদি অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের পরিচয় হয়ে থাকে, সে-ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে কী ভাবে?

তার পরেই জয়প্রকাশের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, তাঁদের মক্কেল জয়প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার জন্য অভিযোগকারীদের কাছে এক আইনজীবীর নাম প্রস্তাব করেছিলেন মাত্র। টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। কারণ, অভিযোগকারীদের সঙ্গে জয়প্রকাশের আলাপ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন প্রদ্যোত হালদার।

দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি বাগচী জানান, সুপ্রিম কোর্ট যে-মামলা হাইকোর্টে পাঠিয়েছে, তার নথি তিনি পরীক্ষা করে দেখতে চান। আগামী শুক্রবার ফের শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন