ফেরার জঙ্গিদের তথ্য পেল বাংলাদেশ পুলিশ

লালবাজারের খবর, তামিম এবিটি-র অপারেশন স্কোয়াডের সদস্য। মাহি বিস্ফোরক-বিশেষজ্ঞ। নয়নের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি গোয়েন্দারা। পুরস্কারও ঘোষণা করেছে লালবাজার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১০
Share:

ফেরার: মাহি, তামিম ও নয়ন গাজি।

ব্লগার খুনের অভিযুক্ত-সহ তিন জঙ্গির খোঁজ নিতে বাংলাদেশ পুলিশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যটেলিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে যোগাযোগ করল কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাদের কাছে ওই তিন জনের ছবি এবং তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। শনিবার কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘‘তিন সন্দেহভাজনের খোঁজে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চলছে।’’

Advertisement

ওই তিন জনের মধ্যে তামিম ওরফে স্বপন বিশ্বাস এবং নয়ন গাজির ছবি শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করেছিল লালবাজার। গভীর রাতে উমর ফারুক ওরফে মহম্মদ আফতাব খান ওরফে মাহির ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। লালবাজারের খবর, তামিম এবিটি-র অপারেশন স্কোয়াডের সদস্য। মাহি বিস্ফোরক-বিশেষজ্ঞ। নয়নের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি গোয়েন্দারা। পুরস্কারও ঘোষণা করেছে লালবাজার।

সম্প্রতি বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-এর তিন সদস্য সামশাদ মিয়াঁ ওরফে তনবির, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ছাড়াও বসিরহাটের বাসিন্দা মনোতোষ দে ওরফে জিয়ারুল গাজিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বাংলাদেশি তনবির ও রিয়াজকে চোরাপথে এ দেশে আনার জন্য শুক্রবার পাক়ড়াও করা হয় শাহাদাত হোসেন ওরফে বাবু নামে এক দালালকে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর— বাবু জানিয়েছে, তনবির, রিয়াজ, তামিম, নয়ন ও আফতাবদের বাংলাদেশ থেকে বসিরহাটের গাছা গ্রামে এনে লুকিয়ে রেখেছিল সে।

Advertisement

বাবুকে জেরা করে জানা যায়, তনবিরের সঙ্গে তামিমও এ দেশে ঢুকেছিল। তনবির পুলিশকে জানায়, বসিরহাট থেকে হাওড়া হয়ে সে এবং তামিম প্রথমে হায়দরাবাদে যায়। পরে সংগঠনের নির্দেশে তনবির পটনা চলে যায়। পটনাতেই মাহির সঙ্গে তার আলাপ হয়। গোয়েন্দারা জানান, পটনা থেকে তনবির ও মাহি কলকাতায় আসে।

ধৃত রিয়াজুল পুলিশকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে সে তনবিরের সঙ্গে দেখা করে। মফস্সলে তারা বাড়ি ভাড়া খুঁজছিল। বসিরহাটের অস্ত্র ব্যবসায়ী মনোতোষের সঙ্গেও তাদের আলাপ হয়। এর পরেই গত মঙ্গলবার এসটিএফ তাদের গ্রেফতার করে। গোয়েন্দারা জানান, তামিম এবং নয়ন কলকাতায় আলাদা ভাবে এলেও গত ১-৩ অক্টোবর হাওড়ার হোটেলে তাদের দেখা গিয়েছে।

বাবু পুলিশকে জানায়, সে হাওড়ায় তামিমকে দেখেছিল। এর পরেই হাওড়ার বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ শুরু করে। সেখানেই জানা যায়, হাও়ড়ায় তামিমের সঙ্গে নয়ন ও মাহিও ছিল। ধৃত তনবির ও শাহাদাতকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত অক্টোবরে হাওড়া স্টেশনের অদূরেই তিন সন্দেহভাজন তিন দিনের জন্য দু’টি হোটেল ভাড়া করেছিল। এসটিএফের গোয়েন্দারা হাওড়ার ওই দুই হোটেলে গিয়ে যাবতীয় রেকর্ড, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন।

দুই হোটেলের কর্মীরা এসটিএফ-এর গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তিন সন্দেহভাজন হোটেল থেকে সকালে বেরিয়ে অনেক রাতে ফিরতেন। ওই এলাকার অন্যান্য হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন