উত্তর-পূর্ব ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র স্লিপার সেল ভাঙতে অসম পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাবে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের সূত্রের দাবি, এ ব্যপারে ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে আলোচনা এবং জঙ্গিদের সম্পর্কিত তথ্য বিনিময় হয়েছে। তবে কবে থেকে ওই অভিযান চালানো হবে তা ঠিক হয়নি সূত্রের একটি অংশের দাবি।
গত সপ্তাহেই অসম এবং বাংলার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে মহম্মদ ইউসুফ, আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন,মহম্মদ রুবেল ওরফে রফিক
এবং জবিরুল ইসলাম নামে জেএমবির ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইউসুফ ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ চার্জশিট পেশ করেছে। বাকি ধৃতদের মধ্যে রফিক, অসমের বাসিন্দা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে জেএমবি-র প্রধান শহিদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশি নাগরিক জবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট নেই।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ থেকেও বেশ কিছু তথ্য মিললে বেশির ভাগ ফাইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লক থাকায় তা থেকে তথ্য উদ্ধার হচ্ছে না। এসটিএফের সাইবার এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে ওই ফাইল খোলার চেষ্টা শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জুলাই মাসে অসমের করিমগঞ্জ থেকে জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত ৪ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে সে রাজ্যের পুলিশ। জবিরুলের নির্দেশে ধৃত যুবকরা অসমের বিভিন্ন প্রান্তে সদস্য সংগ্রহ করেছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু যুবককে এ দেশে নিয়ে এসে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্যও করেছিল। এসটিএফের হাতে ধৃতদের সঙ্গে খাগড়াগড় কাণ্ডের পলাতক কওসরের নিয়মিত যোগাযোগ থাকার প্রমাণ পেয়েছেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিছক করিডর বা স্লিপার সেল নয়। কাছাড় জেলার গুমড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল জেএমবি উত্তর পূর্ব ভারতের ওই প্রধান।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, আজিজুরের কাছ থেকে স্লিপার সেল সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য অসম পুলিশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে জবিরুল এসটিএফের গোয়েন্দাদের কাছেও স্লিপার সেলে নিয়োগের ব্যপারে অনেক তথ্য দিয়েছে।
ওই দুই পুলিশের তথ্য খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
পাশপাশি চলতি বছর জেএমবির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যুবকদের জেরা করার প্রয়োজন এসটিএফের। তাই যৌথ অভিযানের সিদ্ধান্ত।