State mews

ভারতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথা বীরভূমের ইজাজ এসটিএফের জালে

রবিবার বিকেলে তাকে বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসটিএফের যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিন্‌হা সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ১৪:২১
Share:

ভারতে জামাতুল মুজাহিদিনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ ইজাজকে গ্রেফতার করল কলকাতা এসটিএফ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ ইজাজ ওরফে ইজাজ আহমেদকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ২০০৮ সাল থেকে ইজাজ জেএমবির সদস্য।

Advertisement

রবিবার বিকেলে তাকে বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসটিএফের যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিন্‌হা সরকার। এসটিএফের দাবি, বেঙ্গালুরু থেকে খাগড়াগড়-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কওসর গ্রেফতার হওয়ার পর সংগঠনের প্রধান হিসাবে কাজ করছিল ইজাজ। বুদ্ধগয়াতে ২০১৮ সালে দলাই লামার সফরের সময়ে বিস্ফোরণের গোটা পরিকল্পনায় অন্যতম প্রধান চক্রী ছিল সে।

বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পর যখন এসটিএফের হাতে জামাতুল ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য গঠিত ভারতীয় শাখা জামাতুল মুজাহিদিন হিন্দের ধুলিয়ান মডিউলের একের পর এক সদস্য ধরা পড়ছে, তখন গা ঢাকা দেয় ইজাজ। গোয়েন্দাদের দাবি, বাঙালি শ্রমিকদের ভিড়ে মিশে সে বেশ কয়েক মাস বেঙ্গালুরু এবং কেরলে কাটায়। তদন্তকারীদের সন্দেহ, কিছু দিন সে বাংলাদেশেও ছিল। সম্প্রতি সে ফিরে আসে এবং গয়াতে ডেরা বাঁধে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মনমোহন সিংহের এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নিল মোদী সরকার, বরাদ্দ জেড প্লাস

তদন্তকারীদের দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসমে যে বেআইনি মাদ্রাসাগুলিতে জেএমআই নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করে সদস্য নিয়োগ করছে তার মূল দায়িত্বে ছিল ইজাজ। বীরভূমের পাড়ুইয়ের অবিনাশপুরের বাসিন্দা সে। গোয়েন্দাদের দাবি, বীরভূমে জেএমবি-র মডিউল তৈরির সময়েই সে জেএমবি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়ে কওসর এবং বর্ধমান-বীরভূম মডিউলের বাকি সদস্যরা গা ঢাকা দিলে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব বর্তায় ইজাজের উপর। সেই থেকে সে কওসরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে কওসর গ্রেফতার হওয়ার পর জেএমবি-র আল-কায়দা ঘনিষ্ঠ শাখার প্রধান বড়ভাই ওরফে সালাউদ্দিন সালেহিন তাঁকে ভারতের সংগঠনের ‘আমির’ বা প্রধান হিসাবে ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন: অমিত শাহের ডাকা আন্তঃরাজ্য মাওবাদী দমন বৈঠকে গেলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এসটিএফের গোয়েন্দাদের দাবি, সালাউদ্দিন সালেহিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত ইজাজ। তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করে সালাউদ্দিনের হদিশ পাওয়া যাবে দাবি গোয়েন্দাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন