খেলা নিয়ে মারামারি, গড়িয়াহাটে কিশোরের মৃত্যু

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম সোনু চক্রবর্তী। অচৈতন্য অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। যার সঙ্গে মারামারিতে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে,তাকে আটক করেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৩৪
Share:

ডোভার টেরেসের এই স্থানেই মৃত্যু হয়েছে চোদ্দ বছরের কিশোর সোনু চক্রবর্তীর। নিজস্ব চিত্র।

খেলার মধ্যে দুই নাবালকের মারামারিতে প্রাণ গেল এক ১৪ বছরের কিশোরের। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়াহাট থানার ডোভার টেরেসে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম সোনু চক্রবর্তী। অচৈতন্য অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। যার সঙ্গে মারামারিতে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে,তাকে আটক করেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।

Advertisement

১৬/২ ডোভার টেরেসের বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, মৃত কিশোর এ দিন দুপুরে একটি বাড়ির সামনে খেলছিল। তার হাতে ছিল অ্যাকোরিয়াম সাজানোর এক ধরনের সরঞ্জাম। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, তার এক বন্ধু সোনুর হাতে থাকা অ্যাকোরিয়াম সাজানোর ওই সরঞ্জাম চাইলে সে তা দিতে চায়নি। তখন পাশেই ছিল অভিযুক্ত কিশোর। সে পাল্টা সোনুকে ওই সরঞ্জাম দিতে বললে, তার সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। বচসা থেকে হাতাহাতি। ওই সময়ে আশপাশে থাকা অন্য কিশোররা দু’জনকে আলাদা করে দেওয়ার চেষ্টাও করে। অভিযোগ, সেই সময়ে অভিযুক্ত ১৭ বছরের কিশোর সোনুর বুকে লাথি মারে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সোনু। তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তত ক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষানীতিতে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ নয়’, ঘোষণা মোদীর

Advertisement

বাসিন্দারা গড়িয়াহাট থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে। সে তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। মৃত কিশোর স্কুল ছুট। লকডাউনের আগে একটি চায়ের দোকানে কাজ করত সে। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করা হবে।

আরও পড়ুন: আরও নীচে নামতে পারে জিডিপি, উদ্বেগ প্রকাশ করে মত রঘুরাম রাজনের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন