তৌসিফ আহমেদ
উড়ালপুলের রেলিং থেকে ঝুলছিল কুণ্ডলী পাকানো তার। তাতেই জড়িয়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহী যুবকের। সোমবার, বছরের প্রথম দিন পার্ক সার্কাসের চার নম্বর ব্রিজের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম তৌসিফ আহমেদ (১৮)। ওই যুবক থাকতেন বেনিয়াপুকুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরবাইকটি তৌসিফের এক বন্ধুর। সেটি তাঁকে ফিরিয়ে দিতেই একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া তৌসিফ এ দিন তপসিয়ায় যাচ্ছিলেন। চার নম্বর ব্রিজ থেকে বেপরোয়া গতিতে তপসিয়ার দিকে নামার মুখেই দুর্ঘটনায় পড়েন তৌসিফ। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ব্রিজের রেলিং বরাবর বাতিস্তম্ভ থেকে কেব্ল সংযোগের অসংখ্য তার কুণ্ডলী পাকানো অবস্থায় নীচের দিকে ঝুলে ছিল। বেশ কিছু তার আবার রাস্তার এক পাশে পড়ে ছিল। চার নম্বর ব্রিজ থেকে নামার মুখে রেলিংয়ের পাশের ঝুলন্ত তার মোটরবাইকের হাতলে আটকে যায়। ফলে বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তৌসিফ। ধাক্কা খান ব্রিজের রেলিংয়ে। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাস্তায় কেন তারের জট, প্রশ্ন তুলল যুবকের মৃত্যু
দুর্ঘটনার পরে পার্ক সার্কাসের ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চার নম্বর ব্রিজ জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলতে থাকা কেব্লের তার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। এমনই এক জন মহম্মদ মুন্নার অভিযোগ, ‘‘চার নম্বর ব্রিজের উপরে দীর্ঘদিন ধরেই ল্যাম্পপোস্ট থেকে বিপজ্জনক ভাবে তার ঝুলে রয়েছে। এমন দুর্ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম।’’ এ দিন ঘটনার পরেই পুলিশের তরফে ব্রিজের উপরে ঝুলে থাকা ওই সব তার কেটে ফেলার কাজ শুরু হয়। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইকটি আটক করেছে। এ দিন মৃত যুবকের পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কড়েয়া থানার পুলিশ ওই কেব্ল সংস্থার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর (৩০৪এ) মামলা রুজু করেছে। লালবাজারের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে কোন কোন সংস্থার তার রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’