কোর্টের নির্দেশে দুই বোন মঠে

বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পরে কাকা-কাকিমার কাছে ছিল দুই বোন। তবে অভিযোগ, তাঁদের অত্যাচারে ছোটটিকে সেখানে রেখেই পালিয়েছিল বড় বোন। সম্প্রতি তাদের কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করাল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩১
Share:

বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পরে কাকা-কাকিমার কাছে ছিল দুই বোন। তবে অভিযোগ, তাঁদের অত্যাচারে ছোটটিকে সেখানে রেখেই পালিয়েছিল বড় বোন। সম্প্রতি তাদের কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করাল পুলিশ। এজলাসে তাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে তাদের ব্যারাকপুরের বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, মিশন কর্তৃপক্ষকে ২৭ অক্টোবর তাঁর আদালতে আসার অনুরোধ করতে। মেয়ে দু’টিকে সে দিনই তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির ছাত্রী বড় মেয়েটির অভিযোগ, বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরে তারা দুই বোন মায়ের কাছেই ছিল। বাবা তাদের বরাহনগরে কাকা-কাকিমার কাছে টাকার বিনিময়ে রেখে আসেন। সেখানে তার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হত, তাকে খেতে দেওয়া হত না বলে পুলিশকে জানিয়েছে সে। অভিযোগ, কাকা-কাকিমা তাকে মুম্বইয়ের যৌনপল্লিতে বিক্রির পরিকল্পনাও করেন। মেয়েটির আরও অভিযোগ, তার আট বছর বয়সী বোনকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াচ্ছিলেন কাকা-কাকিমা। তবে সে বড় হলে তাকেও বিক্রি করে দেওয়ার মতলব করেছিলেন ওই দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ অগস্ট বরাহনগর থেকে পালিয়ে বড় মেয়েটি মুচিপাড়ার স্কট লেনে মায়ের কাছে যায়। মেয়েদের বাঁচাতে মা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মায়ের আইনজীবী মনোজিৎ ভট্টাচার্য জানান, বিচারপতি পাথেরিয়ার নির্দেশে পুলিশ মেয়ে দু’টিকে আদালতে আনে। এজলাসেই তাদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। আদালতে হাজির ছিলেন মেয়ে দু’টির বাবা-মাও।

বিচারপতি পাথেরিয়া জানিয়েছেন, তিনি মেয়ে দু’টিকে সরকারি হোমে পাঠাবেন না। বাবা-মায়ের কাছেও রাখতে বলবেন না। পুজোর ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বড়টি থাকবে মায়ের কাছে, ছোটটি বাবার কাছে। তবে প্রতি তিন দিন অন্তর এক মহিলা পুলিশ অফিসার তাদের খোঁজ নেবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন