কলকাতা থেকে ইন্ডিগোর বিমানে আগরতলা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। আগরতলারই বাসিন্দা। কিন্তু রিষড়া থেকে গাড়িতে বিমানবন্দর যাওয়ার পথেই মৃত্যু হল নারায়ণ দে (৪০) নামে ওই যাত্রীর। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, নারায়ণবাবুর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী এবং ভাই। রবিবার সকালে বিমানবন্দরে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামতে বলার পরে তাঁর স্ত্রী ও ভাই দেখেন, নারায়ণবাবুর দেহে সাড় নেই। বিমানবন্দরের চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে জানান, মারা গিয়েছেন নারায়ণবাবু।
এ দিনই সকাল থেকে তিনটি ক্ষেত্রে বিমানের ভিতরে তিন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনটি বিমানই জরুরি অবতরণ করে। সকাল আটটা নাগাদ ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা আসার পথে ভুটান এয়ারওয়েজের বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়েন পঞ্জাবের রূপ সিংহ। বিমানবন্দরের চিকিৎসক প্রহ্লাদ হাইত জানান, রূপ সিংহ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাইপাসের কাছে এক হাসপাতালে ভর্তি। সাড়ে এগারোটা নাগাদ গুয়াহাটির বাসিন্দা জগন্নাথ শইকিয়া যোরহাট থেকে আসার পথে ইন্ডিগোর বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কলকাতায় নেমে তাঁর চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল। তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১টা নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যোরহাট থেকে আসার সময়ে বিমানে অজ্ঞান হয়ে যান দেবেশ্বর দাস নামে এক যাত্রী। পরে চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে ছেড়ে দেন। জানা গিয়েছে, দেবেশ্বরবাবুকে চিকিৎসার জন্য মুম্বই নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও শ্যালক।