একই দিনে তিনটি নতুন উড়ান চালু হল কলকাতায়। ঢাকা থেকে দু’টি ও একটি আসবে মায়ানমার থেকে।
এখানেই শেষ নয়, দিন তিনেক আগেই এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানসংস্থা চায়না সাদার্ন-এর প্রতিনিধিরা কলকাতা বিমানবন্দর ঘুরে গিয়েছেন। তাঁরাও এ শহর থেকে উড়ান চালানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে ঠিক কবে থেকে সেই উড়ান চালু হবে, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাননি তাঁরা।
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই শহরে পা রেখেছে ‘মায়ানমার এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল’। তারা সপ্তাহে দু’দিন কলকাতা-রেঙ্গুন রুটে পরিষেবা চালু করছে। বিমানসংস্থা জানিয়েছে, তাদের এয়ারবাস ৩১৯ বিমান বৃহস্পতি ও রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শহরে নেমে সাড়ে ছ’টায় রেঙ্গুন উড়ে যাবে। এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়া কলকাতা থেকে সপ্তাহে তিন দিন রেঙ্গুন যাতায়াত করে। তাদের এয়ারবাস ৩১৯ বিমান সোম, শুক্র ও শনিবার দুই শহরের মধ্যে যাতায়াত করছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিত এ দিন বলেন, ‘‘এক দিনে তিনটি নতুন বিমানসংস্থা এ শহরে পা রাখল। নতুন টার্মিনালে অঢেল জায়গা। ফলে এই বিমানসংস্থাগুলিকে জায়গা দিতে অসুবিধা নেই। চাই, আরও নতুন বিমানসংস্থা আসুক।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা থেকে উড়ান চালু করল বাংলাদেশের দু’টি বেসরকারি সংস্থাও। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সে দেশের বেসরকারি বিমানসংস্থা ‘ইউএস বাংলা’ তাদের বোয়িং ৭৩৭ বিমানে যাত্রী নিয়ে সপ্তাহে পাঁচ দিন কলকাতা-ঢাকা রুটে যাতায়াত করবে। বাকি দু’দিন তারা কলকাতা-চট্টগ্রাম রুটে উড়ান চালাবে। ‘নোভো’ নামে বাংলাদেশের অন্য একটি বেসরকারি বিমানসংস্থা কলকাতা-ঢাকা রুটে সপ্তাহে সাত দিন ছোট এটিআর বিমান চালাবে বলেও এ দিন কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই মূহূর্তে সে দেশের প্রধান বিমানসংস্থা ‘বাংলাদেশ বিমান’ কলকাতা-ঢাকা রুটে প্রতিদিন দু’টি করে উড়ান চালায়। এয়ার ইন্ডিয়াও ওই রুটে দিনে একটি করে উড়ান চালায়। তা ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসও সম্প্রতি সপ্তাহে চার দিন এ শহর থেকে ঢাকায় উড়ান চালু করেছে। বাংলাদেশের আর এক বেসরকারি সংস্থা রিজেন্ট এয়ারও দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত উড়ান চালায়।
অতুল দীক্ষিত এ দিন বলেন, ‘‘আমরা তাকিয়ে রয়েছি চায়না সাদার্ন-এর দিকেও। ওরা চিনের গুয়াংঝাও থেকে কলকাতায় সরাসরি উড়ান চালাতে আগ্রহী। এই মুহূর্তে কলকাতা ও চিনের মধ্যে প্রচুর ব্যবসায়ী যাতায়াত করছেন। তাঁদের মূল গন্তব্য গুয়াংঝাও। তা ছাড়া এ শহরে প্রচুর চিন দেশের লোক থাকেন বলেও আমরা ওই বিমানসংস্থার প্রতিনিধিকে জানিয়েছি।’’ এখন কলকাতা থেকে চিনের মধ্যে একমাত্র চায়না ইস্টার্ন নামের সংস্থা উড়ান চালায়। সপ্তাহে সাত দিনই কলকাতা-কুনমিং রুটে তাদের পরিষেবা রয়েছে।