Barasat

বারাসত স্টেডিয়ামে ৫০ শয্যার সেফ হোম চালু আজ

প্রশাসন সূত্রের খবর, উপসর্গহীন যে সব করোনা রোগীর বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকার মতো ব্যবস্থা বা পরিসর নেই, মূলত তাঁদের জন্যই তৈরি হয়েছে এই সেফ হোম। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৩
Share:

নতুন: সেফ হোমে পুরুষদের জন্য শৌচালয়। (ডান দিকে) এই ঘরেই কোভিড পজ়িটিভদের রাখার প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার, বারাসত স্টেডিয়ামে। নিজস্ব চিত্র

কোভিড রিপোর্ট পজ়িটিভ, অথচ কোনও উপসর্গ নেই— এমন রোগীদের আলাদা করে রেখে চিকিৎসার জন্য আজ, বুধবার থেকে বারাসত স্টেডিয়ামে চালু করা হচ্ছে একটি সেফ হোম। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই কারণেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৫০ জনকে রাখা যাবে এই সেফ হোমে। প্রশাসন সূত্রের খবর, উপসর্গহীন যে সব করোনা রোগীর বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকার মতো ব্যবস্থা বা পরিসর নেই, মূলত তাঁদের জন্যই তৈরি হয়েছে এই সেফ হোম।

সেখানে থাকা কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটলে তাঁকে অবিলম্বে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করবেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে প্রত্যেক রোগীর জন্য আলাদা ঘর তৈরির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বারাসত স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ করছে রাজ্য সরকার। তাই বেশি ঘর তৈরি করা সম্ভব হয়নি। দু’টি বড় ঘর তৈরি করে পুরুষ ও মহিলাদের থাকার পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরুষদের জন্য ৪২টি এবং মহিলাদের জন্য আটটি শয্যা থাকছে।

এ দিন বারাসত পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেফ হোমে পুরুষদের জন্য তিনটি এবং মহিলাদের জন্য দু’টি পৃথক জৈব শৌচাগার করা হয়েছে। স্নানের জন্য থাকছে আলাদা জায়গা। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের জন্যও আলাদা ঘর ও শৌচাগার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বারাসত পুরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই সেফ হোমে করোনা রোগীদের মন ভাল রাখার জন্য গান শোনা, বই পড়ার ব্যবস্থাও রাখা হবে।’’

সেফ হোমের চিকিৎসা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে এ দিন বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘এই সেফ হোম চালু হওয়ায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। করোনা হাসপাতালে কেউ সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকেও এই সেফ হোমে নিয়ে এসে পর্যবেক্ষণে রাখা যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সেফ হোম তৈরি হওয়ায় উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।’’

আরও পড়ুন: লকডাউনের ঘোষণায় উড়ান নিয়ে সংশয় বাড়ল যাত্রীদের

বারাসতের পাশাপাশি মধ্যমগ্রামেও এমন সেফ হোমের পরিকল্পনা চলছে বলে এ দিন জানা গিয়েছে। মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রথীন ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘আমরাও মধ্যমগ্রামে ওই রকম সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা করছি। কোথায়, কী ভাবে তা করা হবে, সে সব দেখা হচ্ছে।’’

এ দিকে, লকডাউন নিয়ে আজ বারাসতে সর্বদলীয় বৈঠক হওয়ার কথা। টানা দশ দিন পূর্ণ লকডাউন করা হবে কি না, সে বিষয়ে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠক ডাকা হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও। মধ্যমগ্রামও বারাসতের পথে হাঁটবে কি না, সেখানে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন