বহুতল নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক কিংবা ব্যাটারি তৈরির কারখানায় কর্মরতদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা কতখানি রক্ষা করা হয়? দূষিত পরিবেশে কাজ করার জেরে অনেক সময়ে ক্রনিক রোগের শিকার হচ্ছেন কর্মীরা। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার অধিকার বজায় রাখা নিয়েই শনিবার একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছিল।
দক্ষিণ কলকাতার সভাগৃহে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ওই আলোচনাচক্রে চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুন জানান, শ্রমিকদের বড় অংশ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের অসুখ নিয়ে পর্যাপ্ত সচেতনতা নেই। কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরা মাস্ক পরা কিংবা প্রয়োজনীয় পোশাক-বিধি মেনে চলছেন কি না, সে দিকে নজর দেওয়া হয় না। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের ঠিকমতো রোগ নির্ণয়ে সমস্যা রয়েছে। এমবিবিএস পড়ার সময়ে কর্মস্থলঘটিত রোগের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সাধারণ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এবং কর্মস্থলে কোনও বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহারের জেরে শ্বাসকষ্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই সর্বস্তরে এই রোগ সম্পর্কে সতর্কতা গড়ে তোলা জরুরি। শহরের পাশাপাশি জেলাস্তরের হাসপাতালেও স্পাইরোমিটারের মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্র থাকা জরুরি। সেগুলির সাহায্যে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণ সহজে বোঝা যাবে।
আয়োজক সংগঠনের এক কর্তা জানান, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার অভাবের জেরে অসংখ্য শ্রমিকের স্বাস্থ্য ভেঙে যায়। স্বাস্থ্য সমস্যা জানানোর পরেও অনেক সময়ে অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীকে অন্যত্র কাজের সুযোগ দেন না।
আইন মেনে চললে সেটা করা যায় না। আর্থিক ক্ষতিপূরণের মতোই শ্রমিকের স্বাস্থ্যের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘ক্ষতিপূরণ দেওয়াই যথেষ্ট নয়। শ্রমিকের যাতে স্বাস্থ্যহানি না ঘটে, সেটাও নজরে রাখা দরকার।’’