প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর স্টেশনে অবরোধ চলাকালীন ট্রেন চালানো নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার এবং ট্রেনচালকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন বিক্ষোভকারীরা। যাদবপুর জিআরপি থানায় অভিযোগ নথিভুক্ত হলেও শনিবার রাত পর্যন্ত মামলা রুজু হয়নি। রেলের কাছে অভিযুক্তদের সবিস্তার তথ্য চেয়েছেন তদন্তকারীরা। রেলও অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় শ’দেড়েক বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রেল পুলিশের বক্তব্য, রেল লাইন সংরক্ষিত এলাকায় পড়ে। রেল লাইনে বসা বা পারাপার অপরাধ। তাই অভিযোগ পেলেও মামলা রুজুর আগে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেল পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে পূর্ব ঘোষণা মতো ডিওয়াইএফআই যাদবপুর স্টেশনে অবরোধ শুরু করে। অবরোধ অগ্রাহ্য করে বারুইপুর থেকে শিয়ালদহগামী একটি ট্রেন বেপরোয়া ভাবে প্ল্যাটফর্মে ঢুকে পড়ে। যাতে জখম হন চার জন অবরোধকারী। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শনিবার এর প্রতিবাদে যাদবপুর থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত মিছিলও করে ডিওয়াইএফআই।
সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে একটি ফেসবুক পোস্ট। সন্দীপন দাস নামে এক রেলকর্মী লিখেছেন, “এক জন চালক হিসেবে গর্ব বোধ করছি। সাধারণ মানুষ এই সব অপ্রয়োজনীয় অবরোধের শিকার হন। নিত্যযাত্রীরাই মূলত ভুক্তভোগী। কারও মৃত্যু চাই না। কিন্তু অবরোধকারীদের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা পাওয়া উচিত।”এ নিয়ে ফেসবুকে চাপানউতোর শুরু হলে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন।
রেল সূত্রের খবর, সন্দীপনবাবু ডিজেল ইঞ্জিনের সহকারী চালক। তিনি সহকর্মীদের কাছে দাবি
করেছেন, তাঁর ফেসবুক হ্যাক করে এই পোস্ট করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে তিনি পুলিশে অভিযোগ করেননি তিনি। পূর্ব রেলের মুখপাত্র রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘ওই রেলকর্মী পোস্ট করেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষ প্রমাণ হলে শাস্তি দেওয়া হবে।’’