সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে মৃত বাবা ও ছেলে

পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম মোজাহার মণ্ডল (৪৫) এবং জসিমউদ্দিন (১৮)। বইচগাছির বাসিন্দা, পেশায় ভাগচাষি মোজাহারের বাড়িতে এ দিন সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ চলছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে কাজ দেখতে নেমেছিলেন এক যুবক। ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় ট্যাঙ্কের ভিতরে নামেন তাঁর বাবা। তাঁদের খোঁজ করতে নামেন দুই মিস্ত্রিও। এর পরে চার জনের কেউ-ই উপরে উঠে আসছিলেন না। শেষে এলাকার মানুষ সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে চার জনকে উদ্ধার করে। কিন্তু তার আগেই দমবন্ধ হয়ে মারা যান বাবা-ছেলে। বাকি দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার আমডাঙার বইচগাছি এলাকার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম মোজাহার মণ্ডল (৪৫) এবং জসিমউদ্দিন (১৮)। বইচগাছির বাসিন্দা, পেশায় ভাগচাষি মোজাহারের বাড়িতে এ দিন সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ চলছিল। দু’জন রাজমিস্ত্রি সেই কাজ করছিলেন। দুপুরে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পরে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে ঢালায়ের জন্য ব্যবহৃত কাঠের তক্তা খুলতে যান মোজাহারের ছেলে জসিমউদ্দিন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও ছেলের সাড়া না মেলায় এর পরে মোজাহার নিজেই ট্যাঙ্কের ভিতরে নামেন। এর পরে তাঁকেও ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় দু’জন রাজমিস্ত্রি নীচে নামেন। কিন্তু তাঁদেরও ডাকাডাকি করে কেউ সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।

এর পরে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এ দিন মোজাহারের শ্যালক সফিকুল হক বলেন, ‘‘আমার সবাই মিলে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে দড়ি নিয়ে নেমে চার জনকে কোনওমতে উপরে তুলে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে আসি।’’ কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, আগেই শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে মোজাহার এবং জসিমউদ্দিনের। মনিরুল ও মারুফ নামে দুই মিস্ত্রির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁদের বারাসত হাসপাতাল থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে অক্সিজেনের অভাবেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আমডাঙা থানার পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন