বন্ধুত্বের ফাঁদে ‘প্রতারিত’

একাকীত্বের যন্ত্রণা মেটাতে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি শরণাপন্ন হয়েছিলেন একটি বন্ধুত্ব পাতানোর সংস্থার। বিজ্ঞাপন দেখেই প্রলুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্লাবের আড়ালে যে প্রতারণা চক্র চলছে, তা তিনি যখন টের পেলেন, ততক্ষণে তার গচ্চা গিয়েছে ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০৩:৩৫
Share:

একাকীত্বের যন্ত্রণা মেটাতে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি শরণাপন্ন হয়েছিলেন একটি বন্ধুত্ব পাতানোর সংস্থার। বিজ্ঞাপন দেখেই প্রলুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্লাবের আড়ালে যে প্রতারণা চক্র চলছে, তা তিনি যখন টের পেলেন, ততক্ষণে তার গচ্চা গিয়েছে ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা।

Advertisement

এই প্রতারণার অভিযোগে সোমবার তিন জনকে গ্রেফতার করেন বিধাননগরের গোয়েন্দারা। ধৃতদের নাম দীপঙ্কর ভৌমিক, ঘনশ্যাম হালদার ও সরিফুল ইসলাম। মিলেছে ১৫০টিরও বেশি সিম কার্ড, যেগুলি বৈধ নথি ছাড়াই চালু হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। এ ছাড়াও ২০টি মোবাইল, আড়াই লক্ষ টাকা, পাস বই ও এটিএম কার্ড মিলেছে।

পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি বন্ধুত্ব পাতানোর সংস্থাটিতে ফোন করলে বলা হয়, ১০০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে হবে। এর পরে যাঁদের সঙ্গে ফোনে বন্ধুত্ব করবেন, সেই যোগাযোগের জন্য আরও টাকা চাওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় ওই ব্যক্তি মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা খরচ করেন। তার পরেও সংস্থার তরফে আরও টাকা চাওয়া হয়। এর পরেই ওই ব্যক্তি পুলিশকে ঘটনাটি জানান।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, সংস্থার আসল অফিস মধ্যমগ্রামে। ২০১১ সাল থেকে সংস্থাটি প্রতারণা করছিল। প্রায় ৭-৮ জন মহিলাকর্মীদের এই কাজে লাগানো হত। বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘‘শহর ও শহরতলিতে এমন নানা ফাঁদ পেতে প্রতারণা চলছে। ওই সংস্থার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন