দুর্ঘটনাগ্রস্ত সঙ্গীকে ফেলে ফের চম্পট

এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশ মিল খুঁজে পাচ্ছে বর্ষবরণের রাতে বড়তলা থানা এলাকার যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউয়ের ঘটনার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক সপ্তাহে পরপর একই ধরনের পথ দুর্ঘটনা। দু’টি ক্ষেত্রেই গুরুতর আহত বন্ধু-আরোহীকে ফেলে পালালেন স্কুটার চালক।

Advertisement

সোমবার রাত তিনটে নাগাদ বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার সিআইটি রোড এবং পদ্মপুকুর রোডের সংযোগস্থলে একটি ভারী গাড়ি একটি স্কুটারকে ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির ধাক্কায় স্কুটারের চালক অক্ষত থাকলেও আরোহী গুরুতর আঘাত পান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জেনেছে, দুর্ঘটনার পরেই চালক সঙ্গীকে ফেলে রেখে স্কুটার নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালান। পুলিশ পড়ে থাকা আরোহীকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশ মিল খুঁজে পাচ্ছে বর্ষবরণের রাতে বড়তলা থানা এলাকার যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউয়ের ঘটনার। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত আরোহীকে ফেলে স্কুটার নিয়ে পালিয়েছিলেন বন্ধু চালক এবং অন্য আরোহী। স্কুটারের পিছনে বসা হরিদেবপুরের বাসিন্দা ডোনাল্ড সেবাস্টিয়ন (২৮) নামে এক যুবক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পিছন থেকে আসা একটি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় সেবাস্টিয়নের। দুর্ঘটনায় মৃত ডোনাল্ডের মা রোজ়ি সেবাস্টিয়ন অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘স্কুটারে কারা ছিল কিছুই জানি না। শুধু একটা কথাই বলব, বন্ধু হয়ে ওরা যে কাজ করেছে সেটা দুঃখজনক। দুর্ঘটনার পরপরই স্কুটার চালক যদি ছেলেটাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করত, তা হলে হয়তো ডোনাল্ড বেঁচে যেত।’’

Advertisement

সোমবার গভীর রাতের ঘটনাতেও সঙ্গীর প্রতি স্কুটার চালকের একই রকম আচরণ প্রকাশ্যে এল। পুলিশ এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত মৃতের নাম-পরিচয় জানতে পারেনি। ফেরার গাড়ি ও তার চালকের পরিচয়ও জানা যায়নি।

ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে লরি, স্কুটার-সহ চালকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন