পকেটমার ধরাই তাঁদের কাজ। এ বার সেই পকেটমারের শিকার হলেন খোদ এক পুলিশ অফিসার।
শুক্রবার সকালে যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারী বাবুনকুমার সিংহ কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের অ্যান্টি পলিউশন সেকশনের সাব-ইনস্পেক্টর। এ নিয়ে অভিযোগ দায়েরের পরে ভবানীপুর থানা তদন্ত শুরু করলেও শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মেট্রো স্টেশন-সহ বিভিন্ন ভিড় জায়গায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে নজরদারি চালানো হয় এ রকম অপরাধ ঠেকানোর জন্য। পুলিশের সেই নজরদারি এড়িয়ে দুষ্কৃতীরা তাদের শিকার হিসেবে একজন সাব ইনস্পেক্টরকে বেছে নেওয়ায় বিস্মিত লালবাজারের কর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারী সাব ইনস্পেক্টরের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সুখচরে। অফিস আলিপুরে। লিখিত অভিযোগে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে তিনি অন্য দিনের মতো দমদম থেকে মেট্রো করে অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর পকেটে থাকা মানিব্যাগ উধাও। অভিযোগে তিনি জানান, ওই মানিব্যাগে নিজের সচিত্র পরিচয় পত্র ছাড়া ও একাধিক এটিএম কার্ড এবং কয়েক হাজার টাকা ছিল।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, অফিস টাইম হওয়ায় ওই সময়ে ট্রেনে ভিড় ছিল বেশি। চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। কারণ অভিযোগকারী যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনে নামার পরে তা টের পান। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, অভিযোগকারীরা কথা মতো যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন-সহ বেশ কয়েকটি স্টেশনের সিসিটিভির ছবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মেট্রোর যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রেলরক্ষী ও পুলিশের নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীদের একটি চক্র স্টেশন-সহ চলন্ত ট্রেনে সক্রিয়। পুলিশকে বার বার জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তবে মেট্রো রেলের অবশ্য দাবি, মাঝে মাঝেই সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই দুষ্কৃতীদের ধরা হয়।