তরুণীর মৃত্যুর পরে অঙ্গদান পরিবারের

বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হৃদ্‌রোগের জন্যই তরুণীর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। গত ৮ নভেম্বর ইসকিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত তরুণীকে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক সপ্তাহ আগে অপ্রতিম ঘোষের পরে অঙ্গদানে এগিয়ে এলেন এক তরুণীর পরিবার। সোমবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাম্পি ঘোষ (২৬) নামে ওই তরুণীর ‘ব্রেন স্টেম ডেথ’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ দিন দিদির পরিণতি জানার পরে মালদহে পরিবারকে ফোনে রাজি করানোর গুরুদায়িত্ব পালনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন মৃতার ভাই পঙ্কজ ঘোষ। ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, মাম্পি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ছিলেন। একবার হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সে জন্য তাঁর যকৃৎ ও দু’টি কিডনি দান করা গেলেও হৃৎপিণ্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি।

Advertisement

বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হৃদ্‌রোগের জন্যই তরুণীর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। গত ৮ নভেম্বর ইসকিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত তরুণীকে ভর্তি করানো হয়। পরদিনই কোমায় চলে যান তিনি। এ দিন ‘ব্রেন স্টেম ডেথ’ ঘোষণা করা হয়। মাম্পির যকৃৎ ও একটি কিডনি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন দু’জনকে দেওয়া হয়েছে। যকৃৎ পেয়েছেন ৩৭ বছরের অমিত দাস। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, ৪৪ বছরের সালাউদ্দিন মুনিরকে একটি কিডনি দেওয়া হয়েছে। অন্যটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে পিজিতে পিজিতে চিকিৎসাধীন ১৯ বছরের এক যুবকের দেহে।

অপ্রতিম, মাম্পিদের দৃষ্টান্ত তৈরি প্রসঙ্গে রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশনের যুগ্ম ডিরেক্টর অর্পিতা রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘অঙ্গদানকে ধারাবাহিক করে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’ গত মঙ্গলবার অপ্রতিমের যকৃৎ পেয়েছিলেন স্বরূপ পাল। এ দিন স্বরূপের স্ত্রী চন্দ্রাণী দে হালদার বলেন, ‘‘আমরা অঙ্গদান নিয়ে আরও মানুষকে সচেতন করতে চাই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন