চরস পাচারে জেলেই অভিযুক্ত

সরকারি কৌঁসুলি অরুণ মাইতি ও সঞ্জয় বর্ধন জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে জদ্রেজেজ জেজিয়েরস্কি নামে পোল্যান্ডের ওই নাগরিককে যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ থেকে গ্রেফতার করেছিলেন লালবাজারের মাদক দমন শাখার গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

চরস পাচারের অপরাধে পোল্যান্ডের এক নাগরিককে দশ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতার নগর দায়রা আদালত। নিম্ন আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল মামলা দায়ের করেছিলেন অভিযুক্ত। গত বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রেখেছে।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি অরুণ মাইতি ও সঞ্জয় বর্ধন জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে জদ্রেজেজ জেজিয়েরস্কি নামে পোল্যান্ডের ওই নাগরিককে যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ থেকে গ্রেফতার করেছিলেন লালবাজারের মাদক দমন শাখার গোয়েন্দারা। তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল প্রায় দু’কেজি চরস। জেলে থাকা অবস্থাতেই জদ্রেজেজের বিচার চলে। ২০১৭ সালে নগর দায়রা আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে দশ বছর সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন।

হাইকোর্টে আপিল মামলার শুনানিতে জদ্রেজেজের আইনজীবী মনোজিৎ সিংহ জানান, যে পদ্ধতিতে চরস বাজেয়াপ্ত করার কথা আইনে বলা রয়েছে, পুলিশ সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেনি। তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মনোজিৎ। সরকারি কৌঁসুলিরা আদালতে জানান, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেটি যে চরস, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা রিপোর্ট পেশ করে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। চরস বাজেয়াপ্ত করার সময়ে নিরপেক্ষ সাক্ষী হাজির ছিলেন। তাঁর বয়ানও মামলার নথিতে রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement