— প্রতীকী চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালে ধর্ষণে অভিযুক্তকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠাল কলকাতার আদালত। শুক্রবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হলে তাঁর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি হয়ে গিয়েছে। হয়ে গিয়েছে মেডিক্যাল পরীক্ষাও। অভিযুক্তের আর পুলিশি হেফাজতের দরকার কী! সরকারি আইনজীবী জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে কয়েকশো সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলির ফুটেজ এত কম সময়ে দেখা সম্ভব নয়। বিচারক অভিযুক্তকে আবার পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
দিন কয়েক আগে এক কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের পিছন দিকের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তিনি ডাক্তার সেজে কিশোরীর কাছে গিয়েছিলেন। ভুল বুঝিয়ে তাকে শৌচালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবকের পরনে ছিল হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতো পোশাক।
অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মী। সেই সূত্রে এসএসকেএম-এও তাঁর যাতায়াত ছিল। মা এবং দাদুর সঙ্গে এসএসকেএম-এর বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল নির্যাতিতা কিশোরী। তার প্রয়োজন ছিল মনোরোগ বিভাগে। ট্রমা কেয়ারের সামনে তাদের বসিয়ে কিশোরীর মা গিয়েছিলেন অন্যত্র। অভিযোগ, সেই সময়ে কিশোরীকে ভুলিয়ে শৌচালয়ের দিকে নিয়ে যান যুবক। কিছু ক্ষণ পর কিশোরীর চিৎকারে সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
ধৃতকে পকসো আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে। সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার আবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত তাঁকে আবার পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।