Minor Harassed in SSKM Hospital

কিশোরীকে শৌচালয়ে নিয়ে যান ধৃত যুবকই, মিলল সিসিটিভি ফুটেজ! এসএসকেএম-কাণ্ডে ডিএনএ পরীক্ষা চাইছে পুলিশ

এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে শৌচালয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে ‘যৌন হেনস্থা’ করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০২
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এসএসকেএম হাসপাতালে কিশোরীকে ‘যৌন হেনস্থা’র ঘটনায় ধৃত যুবককে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার তাঁকে পকসো আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। পুলিশের তরফে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়। চাওয়া হয়েছে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার অনুমতিও। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে রাখতে বলেছে আদালত।

Advertisement

এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে শৌচালয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ওই কিশোরী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়েছিল। অভিযোগ, হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের পিছন দিকের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে ‘যৌন হেনস্থা’ করা হয়। কিশোরীর চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে ধরা পড়ে যান যুবক। বুধবারই তাঁকে গ্রেফকার করা হয়। পকসো আইনে রুজু করা হয় মামলা। ধৃতকে প্রথমে এক দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার পকসো আদালতে হাজির করানো হয় তাঁকে। অভিযুক্তের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের সওয়াল, জবানবন্দি নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তার পরেও হেফাজতে নেওয়ার কী প্রয়োজন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে অভিযুক্তকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে থাকতে বলেছে আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হাসপাতাল চত্বরের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। যুবক যে ওই কিশোরীকে নিয়ে শৌচালয়ের দিকে যাচ্ছেন, তা ফুটেজে দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষায় আগ্রহী। গোপন জবানবন্দিও নিতে চান আধিকারিকেরা। এ ছাড়া, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পৃথক ভাবে রিপোর্ট চেয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অতীতে যুবক শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। সেই সূত্রে এসএসকেএম-এও তাঁর যাতায়াত ছিল। বুধবার হাসপাতাল চত্বরে ঠিক কী কী ঘটেছিল, কী ভাবে কিশোরীকে শৌচালয়ে নিয়ে গেলেন অভিযুক্ত, জোর করেছিলেন কি না, অন্য কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement