POLI

সম্পর্ক মানেনি পরিবার, তাই কি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা তরুণীকে

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রদীপকে জেরা করে জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে চেন্নাই থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। তখনই তাঁর সঙ্গে ওই তরুণীর আলাপ। এর পর থেকে ফোনে এবং সমাজমাধ্যমে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। চলতি মাসে ফের কলকাতায় আসেন প্রদীপ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

অতিথিশালায় এক তরুণীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মুচিপাড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রদীপকুমার সেলভারাজকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুুলিশি হেফাজতে পাঠালেন কলকাতার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক জয়দীপ ভট্টাচার্য। রবিবার বিকেলে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি অতিথিশালায় উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা, ৩৮ বছরের ওই তরুণীর উপরে প্রদীপ হামলা চালান বলে অভিযোগ। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা প্রদীপকে সোমবার আদালতে হাজির করা হলে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘আক্রান্ত মহিলা প্রদীপের সঙ্গে অনেক দিন ধরে মেলামেশা করছেন। দু’জনে এর আগে দিঘাতেও গিয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে তাঁরা ওই অতিথিশালায় ওঠেন। সেখানে প্রদীপ ছুরি দিয়ে ওই মহিলাকে কোপান। আক্রান্ত তরুণীর গলায়-ঘাড়ে ১৩টি সেলাই পড়েছে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার কথা বলা হয়েছে।’’ ৪০ বছরের প্রদীপকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানান তিনি। প্রদীপের কোনও আইনজীবী না থাকায় তাঁর হয়ে মামলা লড়েন লিগ্যাল এড ডিফেন্স কাউন্সেলের আইনজীবী পিয়ালি দেব। তিনি তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে বিচারক প্রদীপের জামিনের আর্জি খারিজ করেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রদীপকে জেরা করে জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে চেন্নাই থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। তখনই তাঁর সঙ্গে ওই তরুণীর আলাপ। এর পর থেকে ফোনে এবং সমাজমাধ্যমে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। চলতি মাসে ফের কলকাতায় আসেন প্রদীপ। তার পরে তিনি এবং ওই তরুণী ১৫ দিনের জন্য দিঘায় গিয়েছিলেন। শুক্রবার তাঁরা বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওই অতিথিশালার ৪১২ নম্বর ঘরে ওঠেন। রবিবার সেখানেই তরুণীকে ছুরি দিয়ে কোপানোর ঘটনাটি ঘটে। এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, প্রদীপ ছুরিটি কিনেছিলেন শিয়ালদহ থেকে। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, চার বছর ধরে প্রদীপের কোনও কাজ ছিল না। চেন্নাইয়ে তাঁর ভাই তাঁকে আর্থিক সাহায্য করতেন। কাজের খোঁজে ২০২৩ সালে দুবাই গিয়েছিলেন প্রদীপ। সেখানে তাঁর বোন থাকেন।

কিন্তু প্রদীপ ওই তরুণীকে খুনের চেষ্টা করলেন কেন? আদালত সূত্রের খবর, তরুণীর সঙ্গে প্রদীপের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার। এই নিয়ে প্রদীপের বাড়িতে অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, অতিথিশালাতেও এই বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হলে প্রদীপ ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তরুণী বাধা দিতে গেলে প্রদীপ তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপান। তবে, পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, টাকা-পয়সা নিয়েও দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে। যার জেরে এই ঘটনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন