বাইপাস জটমুক্ত করতে নয়া পথ

দমদম বিমানবন্দর থেকে গড়িয়ার দিকে যে সব গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করে, সেগুলি মূলত ব্যবহার করে ভিআইপি রোড এবং ইএম বাইপাস। ফলে বাইপাসে এমনিতেই গাড়ির চাপ বেশি থাকে।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০১:৪১
Share:

দমদম বিমানবন্দর থেকে গড়িয়ার দিকে যে সব গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করে, সেগুলি মূলত ব্যবহার করে ভিআইপি রোড এবং ইএম বাইপাস। ফলে বাইপাসে এমনিতেই গাড়ির চাপ বেশি থাকে। পাশাপাশি, ওই রাস্তার এক ধার দিয়ে গজিয়ে উঠেছে প্রচুর খাবারের দোকান এবং গ্যারাজ। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসছে জুনিয়র বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। মূলত এই সব দিকে লক্ষ্য রেখে বাইপাসে যাতে যানজট না হয়, সে জন্য নতুন দু’টি আন্ডারপাস তৈরি করছে রাজ্য সরকার। তার একটি হবে হায়াত রিজেন্সির সামনে, অন্যটি বেলেঘাটা কানেক্টরের কাছে। আন্ডারপাস দু’টি তৈরি করবে কেএমডিএ। খরচ ধরা হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। কেএমডিএ-র এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, হায়াত রিজেন্সির সামনে আন্ডারপাসের কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু সম্প্রতি ওই কাজের সূচনা করেছেন।

Advertisement

বিমানবন্দর থেকে উল্টোডাঙার মধ্যে ভিআইপি রোডের অংশেও এক সময়ে ব্যাপক যানজট হতো। আন্ডারপাস না থাকায় রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করতে বাধ্য হতেন পথচারীরা। ওই যানজট কাটাতে ও ভিআইপি রোডের মতো রাস্তায়
গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যেই কেষ্টপুর, বাগুইআটি ও বাঙুরে তৈরি হয়েছে আন্ডারপাস। রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু জানিয়েছেন, এর ফলে ভিআইপি রোড অনেকটাই যানজট-মুক্ত হয়েছে।

বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু জানিয়েছেন, দমদম পার্ক, গোলাঘাটা, তেঘরিয়া এবং শ্রীভূমিতে আন্ডারপাস তৈরির অনুমোদন মিলেছে। দমদম পার্কের কাছে আন্ডারপাস তৈরির কাজ শুরু হবে পুজোর পরে। সুজিতবাবুর দাবি, এই চারটি আন্ডারপাস তৈরি হয়ে গেলে ভিআইপি রোডে আরও মসৃণ ভাবে গাড়ি চলাচল
করতে পারবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement