বধূকে ফের ‘নির্যাতন’, স্বামীর জামিন খারিজ

আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক মহিলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিল। অভিযোগ, তার পরে অভিযুক্ত নিজেকে শোধরাননি। উল্টে বধূ নির্যাতনের যে অভিযোগে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, সেই একই ঘটনা তিনি ফের ঘটিয়েছিলেন। তার জেরে ওই ব্যক্তির নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন খারিজ করে দিলেন আলিপুরের জেলা বিচারক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্যও নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্ত।

Advertisement

আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক মহিলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সাবিনার স্বামী ফিরোজ আলম ওরফে লাল্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পনের দাবিতে সাবিনার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে বারুইপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়েরা বিচারকের আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ফিরোজকে পেশ করেন তদন্তকারীরা। বিচারক পুলিশি হেফাজতের আবেদন খারিজ করে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন। এলাকায় ফিরে যায় ফিরোজ। তত দিনে সাবিনা তাঁর তিন বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন।

আদালত সূত্রে খবর, জামিন পাওয়ার কয়েক দিন পরে বাপের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সাবিনার উপরে ফের হামলা চালায় ফিরোজ। অভিযোগ, বাপের বাড়িতে গিয়ে ফিরোজ ফের সাবিনাকে মারধর করে। শুধু মারধর নয়। সাবিনার চোখ, মুখ-সহ সারা শরীরে ফিরোজ লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ফের তার বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাবিনা। আদালত থেকে জামিন পেয়ে তাঁর স্ত্রীর ফের তাঁর উপরে অত্যাচার শুরু করেছে বলে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাবিনা। শুধু কাশীপুর থানায় ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করাই নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও সাবিনা যোগাযোগ করেন। সচিবালয় সূত্রে খবর, সেখান থেকেই আইনমন্ত্রীর দফতরে যোগাযোগ করা হয়। এর পরে আইনমন্ত্রীর দফতর থেকে আলিপুরের মুখ্য সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে জেলা বিচারকের এজলাসে নিম্ন আদালতের দেওয়া ফিরোজের জামিন খারিজের আবেদন করেন মুখ্য সরকারি আইনজীবী। বৃহস্পতিবার জেলা বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্ত নিম্ন আদালতের জামিন খারিজ করে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন