প্রতীকী ছবি।
রাসায়নিক মিশ্রিত আবিরের বদলে ভেষজ আবিরের চাহিদা গত কয়েক বছর ধরেই বেড়েছে। ভেষজ আবির ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় আসন্ন দোলে সেই আবির ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর এবং উদ্যান পালন উন্নয়ন নিগম।
কয়েক দিনের মধ্যেই ময়ূখ ভবনে খাদ্য প্রক্রিকরণ দফতর থেকে এই আবির বিক্রির সূচনা করবেন বিভাগীয় মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় ১৫ জন মহিলা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বৈদ্যবাটীতে তাঁদের কারখানায় তৈরি করছেন ভেষজ আবির। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘কৃষ্ণেন্দু ভেষজ আবির’।
উদ্যান পালন উন্নয়ন নিগমের আধিকারিক শিবাজী রায় জানান, মূলত গোলাপ, পলাশ, অপরাজিতা ও গাঁদা— এই চারটি ফুলের
পাপড়ি থেকে তৈরি হচ্ছে এই আবির। তাঁর কথায়, ‘‘রাসায়নিক নয়, আবিরে গন্ধ আনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে আসল গোলাপ জল।’’ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর সূত্রে খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই দফতরের অফিস-সহ সিটি সেন্টার ১ ও ২, রাজারহাট, নিউ টাউন ও সল্টলকে মোবাইল ভ্যানে ভেষজ আবির বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থেকে এই আবিরের বরাত পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করছেন দফতরের আধিকারিকেরা।
রেজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘‘বাজার-চলতি আবির থেকে চোখ ও চামড়ার নানা সমস্যায় আক্রান্ত হন অনেকে। সে কথা মাথায় রেখেই এই ভেষজ আবির ঠিক দামে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য দিকে, চাষির ঘর থেকে সরাসরি ফুল কিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই আবির তৈরি করছেন। লাভবান হচ্ছেন দু’পক্ষই।’’