মন্ত্রীর বকুনিতে লাইনে পুলিশ

মন্ত্রীর সমালোচনার পরে সতর্ক হল পুলিশ। চারু মার্কেট এলাকায় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দুই বস্তির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৭ ০২:২৭
Share:

ফাইল চিত্র।

মন্ত্রীর সমালোচনার পরে সতর্ক হল পুলিশ।

Advertisement

চারু মার্কেট এলাকায় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দুই বস্তির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ সতর্ক হলে সোমবার রাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত না পরের দিন। বুধবার সকাল থেকে তাই ওই এলাকায় রেললাইনের দখল নিল চারু মার্কেট এবং টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিল লালবাজার থেকে যাওয়া বাড়তি বাহিনী।

দুই বস্তির সংঘর্ষ থামাতে রেললাইনের দখল কেন? পুলিশ জানাচ্ছে, দুই বস্তির মাঝখানে রয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার লাইন। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে সংঘর্ষে ব্যবহার করা হচ্ছিল রেললাইনের পাথর। রেললাইন যখন যার দখলে গিয়েছে, সেই-ই তখন যথেচ্ছ পাথর ছুড়েছে অন্য পক্ষকে। উঁচু রেললাইন থেকে পাথর ছুড়তে সুবিধাও হয়েছে। দু’টি বস্তির মাঝের ওই রেললাইনে দুই পক্ষের কেউ যাতে উঠতে না পারেন, বুধবার সারা দিন তা সুনিশ্চিত করেছে পুলিশ। কাজের সূত্রে যাঁরা রেললাইন পারাপার করেন, এ দিন তাঁদেরও ঘুরে যেতে হয়েছে।

Advertisement

একটি বিয়েবাড়িতে বচসা থেকে সোমবার রাতে দুই বস্তির মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় পাথরবৃষ্টি চলে। তার আঘাতে দুই পুলিশকর্মী-সহ সাত জন আহত হন। সোমবারের পরে কেন মঙ্গলবারও ফের সংঘর্ষ হল, তা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শোভনদেববাবু যে ভাবে পুলিশের সমালোচনা করেন, তাতে বিচলিত লালবাজার। লালবাজার সূত্রের খবর, এর পরেই টালিগঞ্জ ও চারু মার্কেট থানাকে সতর্ক করা হয়। দু’টি থানার আধিকারিকদের এ দিন রেললাইনে ডিউটি করতে দেখা যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই বস্তির মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন