হকারদের পুনর্বাসন দিয়ে হবে সেতু

বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত যশোহর রোডের ৬০ কিলোমিটার অংশের সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচটি রেলগেটের উপরে উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

হকারের বাধা সরিয়ে জমি-জট খোলার পরে বারাসতের কাজিপাড়ায় শুরু হতে চলেছে যশোর রোডের উপরে উড়ালপুল তৈরির কাজ। রাস্তার দু’পাশে থাকা হকারদের জন্য এত দিন থমকে ছিল এক কিলোমিটার দীর্ঘ ওই উড়ালপুল প্রকল্প। সমস্যা মেটাতে ঠিক হয়েছে, একটি বাজার কমপ্লেক্স তৈরি করে যশোর রোডের হকারদের সেখানে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর জন্য চার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। টাকি রোডের পাশে ওই বাজার কমপ্লেক্সের নাম দেওয়া হবে ‘কর্মতীর্থ’।

Advertisement

বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত যশোহর রোডের ৬০ কিলোমিটার অংশের সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচটি রেলগেটের উপরে উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। হাবরা এবং বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে সেই কাজে প্রধান বাধা ছিলেন হকারেরা। চাঁপাডালি থেকে কাজিপাড়া রেলগেট ছাড়িয়ে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে প্রস্তাবিত ওই উড়ালপুলের দু’পাশে রয়েছে প্রচুর দোকান। উড়ালপুলের জন্য রাস্তা মাপামাপির সময়েই পুনর্বাসনের দাবি জানান হকারেরা।

বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বুধবার বলেন, ‘‘উড়ালপুলের জন্য উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের টাকি রোডের পাশে বিধান মার্কেটের কাছে কর্মতীর্থে জায়গা দেওয়া হবে। টাকা আমরা হাতে পেয়ে গিয়েছি। কর্মতীর্থ তৈরির পরিকল্পনাও হয়ে গিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, দোকানিদের সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে।’’

Advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজিপাড়ার রেলসেতুটি ১২০০ মিটার লম্বা হবে। সেতু তৈরির জন্য সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, রেলগেটের দু’পাশে কিছু দোকানপাট ভাঙতে হবে। দোকানিরা জানান, রাস্তার কাজে দোকান ভাঙা পড়লে তাঁদের সরে যেতে আপত্তি নেই। তবে পুনর্বাসন দিতে হবে। এর পরেই কতগুলি দোকান ভাঙা হবে, পুনর্বাসনের প্যাকেজ কেমন হবে, সে সব নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কর্তারা ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় জানান, ঠিক হয়েছে, দু’পাশে থাকা নর্দমা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করা হবে। নর্দমার উপরে আট ফুট চওড়া স্ল্যাবের উপরে দোকানপাট রয়েছে। যাঁদের উচ্ছেদ করা হবে, তাঁদেরই কর্মতীর্থে জায়গা দেওয়া হবে। চাঁপাডালি মোড়ে রয়েছে মাছের বড় বাজার। সমস্যা রয়েছে সেই বাজার নিয়েও। তবে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়ে দিয়েছেন, বাজারটি ভিতরের দিকে পিছিয়ে দেওয়া হবে। তা হলেই আর অসুবিধা থাকবে না।

চাঁপাডালি মোড় থেকে বারাসত জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত ৫০০ মিটারের মধ্যে দু’পাশে যথাক্রমে ১২৩টি এবং ৮৮টির মতো ছোট-বড় দোকান রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে শপিং মল, অটোরিকশা স্ট্যান্ড, নার্সিংহোম, সরকারি আবাসন। আবার হাসপাতাল থেকে কাজিপাড়া রেলগেট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশেও রয়েছে প্রচুর দোকান। পুনর্বাসন প্রসঙ্গে দোকানিরা এ দিন জানান, রাস্তা চওড়া না হলে যানজটের জন্য ব্যবসারই ক্ষতি হয়। তাই দোকান ভাঙা পড়লে তাঁদের আপত্তি নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন