বেআইনি নির্মাণ, তোলা আদায় ও দখলদারির অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তপ্ত কসবার নস্করপাড়া। স্থানীয়দের দাবি, এটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা। জানা গিয়েছে, নস্করপাড়া খালপা়ড়ায় কসবা মোটর ভেহিকেলসের কাজ কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে সোমবার রাতে গোলমালের সূত্রপাত। পরে একে অপরের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় কয়েকটি ফাঁকা জমিতে নির্মাণে বাধা দেওয়াতেই এক দল অপর দলের উপর হামলা চালায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ আহমেদ খান এবং ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের মধ্যে। বিধায়কের অনুগামীদের কথায়, এলাকায় বেআইনি নির্মাণ হচ্ছিল। তাতে বাধা দেওয়াতেই তিন জনকে মারধর করেছে অন্য দল। রাম সাউ নামে এক জনের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যাঁদের উপরে হামলা হয়েছে তাঁরা নিজেদের জাভেদ খান অনুগামী বলে জানিয়েছেন। যদিও তা অস্বীকার করে কাউন্সিলরের সমথর্কদের পাল্টা বক্তব্য, এক সময়ে সিপিএমের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কয়েক জন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছে। এলাকায় তোলাবাজি, মাদক বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে সুস্থ পরিবেশ নষ্ট করছে। তাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট মানুষ। তাই এলাকাবাসীরাই তাদের উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে।
কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ অবশ্য এর পিছনে রাজনীতি নেই বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, এটা পাড়ার দু’টি গোষ্ঠীর কোন্দল। এই ঘটনা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খানও।
তৃণমূল নেতৃত্ব স্বীকার না করলেও প্রশ্ন উঠছে, বার বার কসবার বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে কেন?